‘তুমি আসবে বলে ‘ লেখক : বিপ্লব সাহা:
তুমি আসবে বলে মনের অজান্তে গহীন অরণ্যের অন্ধকারে নিভৃতে একাকী তোমার জন্য অপেক্ষায় আমি।
তুমি আসবে বলে সীমাহীন দুর্গম পথ ধরে হেটে চলি দূর দিগন্ত বহু দূরে।
তুমি আসবে বলে অন্ধকার অরণ্যের মাঝে জোনাকি পোকার আলোয় নিড়িক চোখে তোমাকে খুঁজি।
তুমি আসবে বলে নিজেকে নিভৃতে কখনো কখনো একাকীত্ব বুঝি।
তুমি বিশ্বাস করো তোমার হেটে চলা পায়ের নুপুরের রিনিঝিনি শব্দ কোন অজানা দিগন্ত থেকে ভেসে আসে আমার কর্ণে।
তুমি বিশ্বাস করো তোমার দীর্ঘ রেশমি কালো চুল দেখে মন মুগ্ধ হয়ে হয়েছিলাম ব্যাকুল।
তাইতো তোমার সেই দীর্ঘ এলো মেলো কালো চুলের খোঁপা গুছিয়ে বেঁধে সুশোভিত করে দিয়েছিলাম অচেনা একগুচ্ছ বনফুলে।
তুমি কি জানো তোমার মায়াবী চোখের পলকের পাপড়িতে আমায় আকৃষ্ট করতে পারেনি কিন্তু ব্যাকুল করেছিল হৃদয়।
তোমার ঠোটের প্রলোব্ভিত লালসায় আমি একটুও বেহায়া হতে শিখিনি।
অতঃপর তুমি যখন আমার নির্বাক ভুমিকা দেখে তোমার পায়ের নুপুর খুলে হাতের মুঠোয় মুষ্ঠি করে নিঃশব্দে চলে গেলে তখনো আমি তোমাকে পিছু থেকে একটুও ডাকিনি।
তুমি কি জানো তুমি চলেগেলে ঠিকই কিন্তু আমি বিরহে কাতর হব এমন কখনো ভাবিনি।
তাইতো আমি ঠিক সেইখানে দাঁড়িয়ে আজও তোমার প্রতীক্ষায়,
তুমি আসবে বলে অন্ধকার পথের
দু ধারে মাটির প্রদীপের প্রদীপ জ্বেলে আলোকিত করে রেখেছি নিকোষ কালো আঁধার।
তুমি সত্যি কি আসবে ফিরে।
তবু একটু পলক ফিরিয়ে দ্যাখো নাম না জানা কত অচেনা রাশি রাশি গুচ্ছ ফুল দুহাতে রেখেছি তোমার জন্য ।
পড়ন্ত বিকেলের দুষ্টু সমীরণে তোমার উড়ন্ত রেশমী কালো চুল আর
মাঝে মাঝে ক্ষণে ক্ষণে চোখের পলক লজ্জা লাজুকতায় কি যেন বোঝাতে চাইতে অজানা গহীনের কোনো ভাষায়।
আমি কখনো বুঝতেও চাইনি বোঝার চেষ্টাও করিনি শুধুই ছিল তোমার প্রতি আমার হেঁয়ালি পনা।
আজ আমি সত্যি বড্ড একা
তুমি এসো ফিরে এসো আমাকে স্পর্শ করো, আমাকে অনুভূতি দাও
তোমার চোখের চাহুনিতে আর গোলাপি ঠোঁটের অগোছালো কিছু লাজুকতায় আমায় বেহায়া করে নাও।
কারণ আমি প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত
শুধু তোমাতেই তৃষ্ণার্ত।