ঢাকাMonday , 27 October 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষ যাবে কার মুঠোয়, মনোনয়ন প্রত্যাশী আট।

দেশ চ্যানেল
October 27, 2025 9:44 am
Link Copied!

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল – ২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৮ জন হলেও আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন দুই জন প্রার্থী।

কে পাচ্ছেন ধানের শীষের টিকেট এ নিয়ে এই আসনের মানুষের মধ্যে চলছে কঠিন জল্পনা কল্পনা ও আলোচনার ঝড়। আলোচনা হচ্ছে হাট,বাজার ও এলাকার প্রতিটি চায়ের দোকানে।

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন। তারই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন প্রার্থীরা। নড়াইল – ২ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে এলাকার মানুষের মধ্যে নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আলোচনায় রয়েছে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল – ২ আসনে বিএনপির হাইকমান্ড থেকে মো. মনিরুল ইসলামকে মাঠে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবং জোট থেকে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে জোটের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে মাঠে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নড়াইল সদরের একাংশ ও লোহাগড়া উপজেলা নিয়ে নড়াইল-২ আসন গঠিত। যেখানে দুইটি উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও ২০ টি ইউনিয়ন রয়েছে।এর মধ্যে লোহাগড়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়ন এবং নড়াইল সদরের একাংশে ১ টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। নড়াইল ২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫৭ জন, ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৪৭ টি।

নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন ৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, নড়াইল জেলা বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইজাজুল হাসান বাবু, লন্ডন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. তুহিন মোল্যা, জিয়া সাইবার ফোর্সের উপদেষ্টা সদস্য( অবঃ মেজর) কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম প্রিন্স, নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আমেরিকা প্রবাসী এম জাকারিয়া মাহমুদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও যুবদল নেতা এইচ এম রাশেদ।

এ বিষয়ে নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি নড়াইল জেলা বিএনপির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি হাইস্কুল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করি। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল করেছি। নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ২০১৭ সাল থেকে একটানা ২০২৫ সাল পর্যন্ত নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০২৫ সালের কাউন্সিলে সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে পুনরায় নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। এর আগে আমি ২০১৪ সালে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। বিগত ১৭ বছর আমি রাজপথে থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। অনেকবার মামলা হামলার শিকার হয়েছি। অনেকবার জেল খেটেছি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অনেকবার আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর করেছে। যখন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নড়াইল জেলা বিএনপির অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন থেকে আমার বাড়ি থেকে জেলা বিএনপির কার্যক্রম পরিচালনা হতো। জুলাই আন্দোলনে ৪ আগস্ট নড়াইলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ও ফ্যাসিস্টদের দোষর পুলিশ বাহিনীর বন্দুকের নলের সামনে সেদিন আমার নেতৃত্বেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। সেদিনের সেই বিভীষিকাময় চিত্র দেশের বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে,পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। হামলা, মামলা, জুলুম, নির্যাতনের পরোয়া না করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায় প্রতিটি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি।

আমার নামে রাজনৈতিক ২৩ টি মিথ্যা বানোয়াট মামলা হয়েছিল। আমি ৭ বার কারাবরণ করেছি। । তিনি আরও বলেন বিগত ১৭ বছর জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করেছি। এখনও জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। এজন্য আমি শতভাগ আশাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সব কিছু বিবেচনা করে নড়াইল -২ আসনে আমাকেই দলের মনোনয়ন দিবেন। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ এবং এই আসন জনাব তারেক রহমানকে উপহার দিবো।

এ বিষয়ে নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপির) চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক সিনিয়র আইনজীবী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর আমিসহ আমার দলের নেতাকর্মীরা যুগপৎ আন্দোলনে সরব ছিলাম। পুলিশের আতংকে আমিসহ আমার নেতাকর্মীরা রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। ঢাকাসহ আমার নির্বাচনী আসন নড়াইল -২ এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এছাড়া প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেছি। আমি সব সময় দলের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আমি ফ্যাসিবাদী আমলে দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা হয়েছে ওই সমস্ত মামলার আইনি লড়াই করে শতশত নেতাকর্মীকে জামিনে মুক্ত করেছি। নেতাকর্মীদের যেকোন সুবিধা অসুবিধা দেখেছি। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে আমাকে নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়। আফসোসের বিষয় আমার নিজের ভোট আমি নিজে দিতে পারিনি। ওই নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে আমার অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। অসংখ্য মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়াও আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। আমি গত ১৬টি বছর ধানের শীষের পক্ষে কাজ করেছি। এখনও মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নড়াইল – ২ আসনে আমাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দিবেন। এবং আমি বিজয়ী হয়ে এই সংসদীয় আসন জনাব তারেক রহমানকে উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ বলেন, আমি নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ২০১৭ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর বিএনপি ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে শত বাধা উপেক্ষা করে ওই সমস্ত কর্মসূচি পালন করেছি। এসব কর্মসূচি পালন করতে যেয়ে পুলিশ প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছি। এসব কারণে আমার নামে ১৫টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা হয়েছে। আমাকে ২ বার কারাবরণ করতে হয়েছে।

আমি ধানের শীষকে বুকে লালন এখনও মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছি। আমার আশা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নড়াইল – ২ আসনে আমাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দিবেন। এবং আমি বিজয়ী হয়ে এই সংসদীয় আসন জনাব তারেক রহমানকে উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি নড়াইল জেলা বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার ইজাজুল হাসান বাবু বলেন, আমি নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটে পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর দলের সাথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। নড়াইলসহ ঢাকার রাজপথে স্বৈরাচার বিরোধী লড়াই সংগ্রাম করেছি। আন্দোলন সংগ্রাম করতে যেয়ে পুলিশসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছি। আমার নামে ৫টি মিথ্যা নাশকতার মামলা হয়েছে। আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে। আমার বাড়িতে পুলিশ, ডিবি, র‍্যাব অভিযানের নামে তান্ডব চালিয়েছে। আমার বাড়িতে ঢোকার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে রেড ব্লক অভিযান করেছিলো। আমাকে না পেয়ে সেদিন আমার মায়ের সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। সেদিনের ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন। ২০১৩/১৪ সালে শত বাধা অতিক্রম করে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার রাজপথে ব্যপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। যেটি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকেই অবগত রয়েছেন।

আমার মা টানা তিন বছর ঢাকায় থেকে ২০২১ সালে মৃত্যু বরন করেন। কষ্টের বিষয় হলো আমি আমার মায়ের জানাজাসহ কবরে মাটিও দিতে পারিনি। এছাড়া আমার বাবা ২০১১ সালে মৃত্যু বরণ করেন, আমি বিএনপি করি বিধায় আমার বাবার জানাজাসহ কবরে মাটি দিতে পারিনি। সন্তান হিসেবে এর থেকে কষ্টের আর কি আছে। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে কোন ধরনের আতআত করি নাই বিধায় আমার পরিবারের উপর এতটা নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমি ১০০% নিশ্চয়তা দিতে পারি নড়াইল -২ আসনের জনগণ আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এবং আমি আমার নেতা জনাব তারেক রহমানকে এই আসন উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।

নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি লন্ডন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তুহিন মোল্যা বলেন, আমি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমি দীর্ঘদিন লন্ডনে আছি। প্রবাসে এসেও দলের পক্ষে কাজ করেছি। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। যার জন্য আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা হয়েছে। আমার পরিবারের সদস্যদের পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বিগত ১৬ বছর আমি সব সময় আমার এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। সব সময় খোঁজ খবর নিয়েছি। যতটুকু সম্ভব আমি দলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সব সময় দলের কাজ করেছি, এখনও করে যাচ্ছি, ভবিষ্যতেও দলের জন্য কাজ করে যাবো। আমাদের অবিভাবক জনাব তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা সেই সিদ্ধান্তে কাজ করে যাবো। তিনি যাকে ধানের শীষ প্রতীক দিবেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি জিয়া সাইবার ফোর্সের উপদেষ্টা সদস্য মেজর (অবঃ) কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, আমি বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে সব সময় দলের সাথে ছিলাম। দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। এখনও নড়াইল -২ আসনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যদি নড়াইল -২ আসনে আমাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি এলাকার মানুষ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। আমি বিজয়ী হলে এই এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে শতভাগ কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এম জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে আসছি। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা পালন করেছি। বিপদের মূহুর্তে সব সময় নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছি এবং পাশে থেকেছি। দলের নির্দেশনা মেনে এখনও ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা রাখি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাকে সব কিছু বিবেচনা করে এবার আমাকে মনোনয়ন দিবেন। তিনি আরও বলেন, নড়াইল -২ আসন থেকে এবার যদি আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে এই এলাকার জনগণের কল্যাণে কাজ করবো। জনাব তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করবো। এছাড়া জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই যেকোন কাজ সম্পন্ন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশি

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এইচ এম রাশেদ বলেন  ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে কেন্দ্র ঘোষিত সমস্ত কর্মসূচি পালন করেছি। কর্মসূচি পালন করতে যেয়ে আওয়ামী লীগের গুন্ডাদের এবং পুলিশের হামলার শিকার হয়েছি। হামলায় অনেকবার আহত হয়েছি। কয়েকবার মিথ্যা নাশতার মামলায় জেল খেটেছি। জেলে গিয়ে রিমান্ডসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এসব আন্দোলন সংগ্রামের ফুটেজ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে প্রতিনিয়ত নিজের নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। এবং ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাকে ধানের শীষ প্রতীক দিবেন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করবো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST