যোগেশ ত্রিপুরা(রামগড়)প্রতিনিধি
বৈসুর হাওয়া বইছে পাহাড় পর্বতে , গাছে ফুল ফলাদি ভরা ও ডালে বসে থাকা পাখির সমুধূর কন্ঠে কিচিরমিচির সুর আর কোকিলের ডাক। আজ উৎসবে মেতে উঠেছে এই পাহাড়। তাই নিজের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি পুরো বছরের সকল দুঃখ গুলোকে বিদায়ের বার্তা দিয়ে নতুন বছর আগমনে নতুন বছর বরণে এই আয়োজন। তাই আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের পরিচয়, এই প্রতিপাদ্যকে সমানে রেখে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে রামগড়ে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু ১৪৩৫ ত্রিপুরাব্দ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রামগড় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদে কার্যনির্বাহী সদস্য মাচাং বাবু বিপ্লব ত্রিপুরা। আয়োজনে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, রামগড় আঞ্চলিক শাখা এবং ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম বাংলাদেশ, রামগড় উপজেলা ও কলেজ শাখা।সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের রামগড় আঞ্চলিক শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান আহব্বায়ক মাচাং হরি সাধন ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাবা মমতা আফরিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সহ সভাপতি জনাব মোঃ হাফেজ আহম্মদ ভুঁইয়া। আরো অতিথি ছিলেন রামগড় পৌর বিএনপি সভাপতি জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন, উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলার বিএনপি সভাপতি জনাব মোঃ সেফায়েত উল্ল্যাহ, রামগড় উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে বৃন্দ ও রামগড় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের র্যালিতে অংশগ্রহনকারী নারী পুরুষ এবং কর্মরত পুলিশ সদস্য সহ রামগড় উপজেলা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিধি প্রমূখ।
শুরুতে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত র্যালিতে অংশগ্রহন নারী পুরুষ রামগড় লেকের পাড় মুক্তি যুদ্ধ ভাস্কর্যে মিলিত হয়।পরে র্যালিটি ফিতা কেঁটে ও কবুতর উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন। উদ্বোধন শেষে র্যালিটি মুক্তি যুদ্ধ ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে রামগড় কেন্দ্রীয় কবরস্থান পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে আবারও লেকে পাড় মুক্তি যুদ্ধ ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয় এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে পক্ষ থেকে ত্রিপুরা জাতির আসচ্ছে বৈসু ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।শেষে র্যালিটিকে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যকে গরিয়া নৃত্যর তালে তালে মেতে তুলে পরিসমাপ্তি ঘটে।