বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
হঠাৎ করে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে দুই থেকে তিন দিন ধরে বাতাসের গতি কমে গিয়ে ভ্যাপসা গরমে তীব্রতায় দগ্ধিত করে তুলেছে জনজীবন।
গত সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে ক্রমান্বয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে এসে ঠেকেছে তাপমাত্রা।
গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর থেকে এই গরমের তীব্রতা বেড়েছে।
অথচ রৌদ্রের প্রখর তেজ নাই আকাশে মেঘের ঘনঘটা দম মেরে থাকা আবহাওয়া
লেস মাত্র বাতাস নাই। জনজীবন যেন অতিষ্ঠ করে ফেলছে এই ভ্যাপসা গরমে।
দিনে যেমন তেমন রাত্রে ঘুমোতে কষ্ট হচ্ছে ফ্যানের বাতাস শরীরে অনুভব হচ্ছে না।
এদিকে গতকাল গভীর রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও কমেনি গরম।
এতে হঠাৎ করে বেড়েছে পানি শূন্যতা রোগীর সংখ্যা ডায়রিয়া পাতলা পায়খানা আমাশা সাথে তো ডেঙ্গু রয়েছেই ।
বেশি সমস্যার মধ্যে হাই প্রেসার উচ্চ রক্তচাপ জনিত স্বাস্থ্যগত মানুষেরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে মৌসুম পরিবর্তন হওয়ার সাথে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে না শরতের আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মৃদু শীতের অনুভূতি টের পাওয়া যায় অথচ কয়েক বছর ধরে তার উল্টো নিয়ম বিরাজ করছে। যার বিরূপ প্রভাব বিরাজ করছে মানবদেহে। বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। একেতো ডেঙ্গু রোগীর চাপে শহরের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সিটতো দূরের কথা ফ্লোরে পর্যন্ত তিল পরিমাণে জায়গা নাই ।
ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।
তারপর আবার কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া আমাশা পানি শূন্যতা রোগী এসে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে । ডেঙ্গি রোগীর পাশাপাশি এ সকল রোগীদের ক্ষেত্রে ও একমাত্র গ্লুকোজ ও সাধারণ স্যালাইন ভরসা।
অথচ হাসপাতালগুলোতে চলছে স্যালাইনের তীব্র সংকট
সরকারি হাসপাতালগুলোতে। রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ হচ্ছে না গ্লুকোজ ও সাধারণ স্যালাইন।
তারপরে আবার বহিরাগত যেসব ফার্মেসীগুলো রয়েছে সেখানে অধিক দামে স্যালাইন বিক্রি করার দায়ে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে বেশ কিছু ফার্মেসি মালিকদের জরিমানা করার কারণে তারাও সতর্ক।
তাদের কাছে পর্যাপ্ত স্যালাইন সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে রোগীর স্বজনদের স্যালাই নাই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অসুস্থ ভুক্তভোগী রোগীদের।
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রোগীদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে বলছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাবের পানি সাদা পানি গ্লুকোজ ও খাবার স্যালাইন খাওয়ার জন্য।
এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের কারণ যে ডাব ডেঙ্গু রোগের তীব্র বিস্তার এর পূর্বে ৬০ টাকা থেকে ৭০টাকায় সচরাচর পাওয়া গেলেও সেই ডাব এখন কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে তাও ভালো মানের ডাব মিলছে না বাজারে।
করোনা কালীন সময়ের মতো সিভিট ট্যাবলেট মাক্সও স্যানিটাইজার এর মত খাবার স্যালাইনের ও আকাল পড়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছে দুর্যোগ আর দুঃসময়ে অসহায় মানুষদের কুক্ষিগত ও পুঁজি করে বড় বড় কোম্পানির মজুদ ব্যবসায়ীরা লুফে নিচ্ছে অসৎ পথে শত শত কোটি টাকা।