শচীন্দ্র নাথ মন্ডল দাকোপ খুলনা প্রতিনিধি
শেখ হাসিনার দর্শন বাংলাদেশের উন্নয়ন “প্রতিটি গ্রাম হবে শহরে রুপান্তরিত এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্হার মান উন্নয়নে নিরলাস ভাবে কাজ করে আসছে। সরকারের এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্হানীয় সরকার প্রৌকশল অধিদপ্তর (এল জি ডি)। যার ফলশ্রুতিতে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে মাইলফলক হয়ে দেখা যাচ্ছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানর পক্ষ থেকে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামো উন্নয়নে চলছে সরকারের নানাবিধ কর্মকান্ড। দাকোপ উপজেলা খুলনা জেলা সদর হতে দুরত্ব ২৬ কিঃমিঃ। আয়তন ৯৯১.৯৮ বর্গকিলোমিটার ৯টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার ৯০ টি ওয়ার্ড, ২৫ টি মৌজা, ১০৬টি গ্রাম, জমির পরিমান ২৭.২২৮ হেক্টর নিয়ে গঠিত। জনসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ। ভৌগোলিক দিকথেকে উত্তরে বটিয়াঘাটা উপজেলা,পূর্বে রামপাল উপজেলা, দক্ষিণে সুন্দর বন, এবং পশ্চিমে পাইক গাছা উপজেলা। স্হানীয়সরকার প্রকৌশল বিভাগের কাজের ছোঁয়ায় পরিবর্তন হতে চলেছে এ উপজেলার সাধারণ মানুষের জীবন মানোন্নয়ন মান। এ উপজেলায় সরকারী এ প্রতিষ্ঠানেরমাধ্যমে গত ৫ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রাস্তা ঘাট উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, ব্রিজ কালভাট,শতভাগ বিদ্যুৎয়ান,এ সকল উন্নয়ন মূলক কাজের ছোঁয়ায় এ উপজেলার চেহারা বদলে গেছে। ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে ৩২ নং পোল্ডারের দুই টি ইউনিয়ন বিশেষ করে কামারখোলা ও সুতারখালী ইউনিয়নের ওয়াবদা রাস্তার ভেডীঁ বাঁধ ভেঙে ভিতর পানি ঢুকে ঘরবাড়ি বিলিন হয়। ঝুপড়ি ঘরবেধেঁ আত্ম মানবতায় জীবন যাপন করে এ এলাকার মানুষ। রাস্তা ঘাট চলাচল কারার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় এখন ৩২ ও ৩৩ নং দুই টি পোল্ডারে বিশ্বব্যাংকের আর্থায়নে ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এ উপজেলায় পাকা রাস্তা ৪৪০ কিঃমিঃ, আধাপাকা রাস্তা ১১০ কিঃ মিঃ,রীজ- কালভাট ৬৮৭ টি আছে । এছাড়াও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১১৩ টি তার মধ্যে ৩২ টি স্কুলে ৩৫ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮ হাজার ৮ শো১টাকা ব্যয়করে নির্মান করা হয়েছে । ৭ টি স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি ৪৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬ শো ৭৬ টাকা ব্যয়করে নির্মান করা হয়েছে। ২টি ইউনিয়ন পরিষদের ভবন তৈরী ১১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করে নতুন ভবন তৈরী করছে স্হানীয় সরকার (এল জি ডি) অধিদপ্তর। খুলনা, বাঘের হাট, সাতক্ষীরা, জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২ শো ৩৯ টাকার কাজ কারা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আমফান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৪ লক্ষ ৭২হাজার ৩ শো ৬৫ টাকার কাজ হয়েছে। দীর্ঘ নাইন ব্রিজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯৩ হাজার ৫ শো ৯৯ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মান কারা হয়েছে। সার্ববজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পিচ চালাই রাস্তা ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯ শো ৮৫ টাকা ব্যয় করে কাজ করা হয়েছে। দাকোপ উপজেলায় ২ টি ভূমি অফিস নির্মান প্রকল্পের আওতায় ১কোটি ৩৬ লাখ ৪১ হাজার ৮ শো ১টাকা ব্যয়করে কাজ করা হয়েছে। গ্রামীণ হাটবাজার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ টি বাজার ২কোটি ৬৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬ শো ৯৬ টাকা ব্যয় করে নির্মান করা হয়েছে। পুকুর খনন করা হয়েছে ৪টি ৫৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯ শো ৮৩ টাকায়।খাল খনন ৬ টি ২কোটি ৪৪ লক্ষ টাকায়।দাকোপ উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মান ৭ কোটি ৯৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯ শো ৯৯ টাকায়। মুজিব কর্নার নির্মান ৭ লক্ষ টাকায়।স্মৃতি সৌধ ২ টি ৫৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭ শো ৫৫ টাকায়। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মান ৩কোটি ২০ লক্ষ ১৭ হাজার ২ শো ৫১ টাকায় । খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মান ৫২ কোটি ৮৮লক্ষ ১৭ হাজার ৮ শো ৮০ টাকা খরচ করাহয়েছে। যাহা এলাকায় জন সাধারণের যাতায়াতের জন্য একটা অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছে। এক সময়ে মানুষ উপজেলা সাদরে আসার জন্য দূর্ভোগ পোহাতে হতো। এখন সেটা আর ভোগ করতে হচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্হা উন্নয়ন হওয়ায় মানুষ এক স্হান হতে অন্য স্হানে খুব দ্রুত যাতায়াত করতে পারছে। এছাড়া সমাজসেবা অফিসেরমাধ্যমে বয়স্কভাতা কার্ড পেয়েছে ৬হাজার ৮শো ৪১ জন,।বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা,ও দুস্থ কার্ড ৪ হাজার ৩শো ৫২ জন।প্রতিবন্ধী ভাতা ২ হাজার ২০ জন।প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ১শো ১৪ জন।বীর মুক্তিযুদ্ধের ভাতা ৬৮ জন পাচ্ছেন।