মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর ও বরিশাল দুই জেলার সুবিধার্থে সংযোগ সেতু নির্মাণের কাজ চলমান থাকলেও সরকারের উন্নয়ন বিভিন্ন ভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছেন একটি কুচক্রী মহল।
ঠিকাদারের দাবি সেতু নির্মানের কাজের শুরু থেকেই কুচক্র মহলটি বিভিন্ন ভাবে বন্ধের পায়তারা চালাচ্ছে।
এলজিইডি ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুর ও বরিশাল জেলার ডাসার এবং গৌরনদী উপজেলার সিমান্তবর্তী ইছাকুড়ি ও ব্যাবাইজা ঘাটা নামক স্থানে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (এমএসআরডি) প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৭ টাকা ব্যয়ে ৮০০ মিটার সংযোগ সড়কসহ ২৮ মিটার সেতুটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
দরপত্র অনুযায়ী সর্বনিম্ন মূল্যে কাজটি পেয়েছেন পিরোজপুর ইফটি. ইটিসিএল (প্রা:) লিমিটেড। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট স্থানীয় ঠিকাদার সৈয়দ মোবাচ্ছের আলী বিপ্লব সেতুটির কাজ নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
সেতুটি নির্মাণের জায়গাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ইছাকুড়ি বাকাই মৌজার ৪ নং খতিয়ানের বি আর এস ২৯ নং দাগটি সম্পুর্ণ সরকারি রাস্তা। রাস্তার পূর্বে গৌরনদী ও পশ্চিমে মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলা।
১৯৮৫ সালে ওই খালের উপর বেসরকারি সংস্থা ছোট একটি সংযোগ সেতু নির্মাণ করেছিলেন। যাহা ১৯৯৮ সালে বন্যার পানিতে সেতুটি ভেঙে যায়। যার ফলে দুই জেলার মানুষের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এখন নতুন এ সেতটি নির্মাণের কারনে দুই জেলার জনসাধারণের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে। যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা বাড়বে স্কুল কলেজে পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থীদের।
খানিকটা পাশেই রয়েছে “সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ ও ডি.কে. আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজ সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সরকারি শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজর শিক্ষার্থী সায়মা ইসলাম, মনিরা আক্তার ও সোনালী ঢালী বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য আমরা এই সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
আমরা এখন অল্প সময়ই কলেজে পৌঁছাতে পারব।
মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর মামুন অর-রশিদ বলেন, দুই জেলার মানুষের সুবিধার্থেই সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। কিছু লোকজন আছে সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সব সময়ই বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে থাকে।
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সেতু নির্মাণের জায়গাটি সরেজমিনে গিয়ে নকশা ও পর্চা দেখা মেপে দেখেছি, ওখানে ৭২ শতাংশ জমি রয়েছে,যে সরকারি নকশায় রাস্তা।
স্থানীয় ঠিকাদার সৈয়দ মোবাচ্ছের আলী বিপ্লব বলেন, আমরা ইছাকুড়ি বাকাই মৌজার ৪ নং খতিয়ানে বি আর এস ২৯নং দাগের ৭২ শতাংশ জায়গায় ২৮ মিটার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। সেতু নির্মাণের কাজের শুরু থেকেই,একটি কুচক্রী মহল যাহাতে সেতুটি নির্মাণ বন্ধ হয়,তার জন্য অপচেষ্টা করে আসছেন। সেতু নির্মাণের জায়গাটি তার নিজের বলে,তারা বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আসছেন। এবং চাদাও দাবি করছেন। চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলায় একজন গ্রেফতার হয়েছে।
কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ১/১ খাস খতিয়ান ভুক্ত খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের সরকারি জায়গায় সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পূর্বেও এখানে ছোট একটি সেতু ছিল। পাশেই সওজের সুইস গেট দিয়ে ভারী যানবাহন চলতে না পারায় জনস্বার্থে জনপ্রতিনিধির চাহিদা ও সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের দুই জেলার যোগাযোগর সুবিধার্থে এই সেতুটি নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সরকারি খাল ও সরকারি নকশায় রাস্তার জায়গায় সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।