বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
দুইদিন বিরাম দিয়ে আবারো শুরু হয়েছে খুলনায় মুষলধারে বৃষ্টি তলিয়ে গেছে শহরের রাস্তাঘাট অলিগলি । দীর্ঘদিন বৃষ্টি থাকার কারণে শহর ভিত্তিক সকল ব্যবসার ওপর পড়েছে মন্দা প্রভাব তাছাড়া সাধারণ জনগণের সকল ধরনের কাজের ক্ষেত্রেও বিঘ্ন ঘটছে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না , পাশাপাশি দীর্ঘদিনের টানা বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষের শরীরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে জ্বর সর্দি কাশি আমাশার প্রভাব ফলে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঐ সকল রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ। এদিকে আবার বিরামহীন বৃষ্টিতে শহর তলিয়ে গেছে তারপর আবার শহরের প্রত্যেকটা সড়ক খানাখন্দর হওয়ার কারণে রিকশা অটো চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাটা হয়ে পড়েছে বিপদজনক, তারপর আবার রিক্সা বা অটো পেলেও ভাড়া দ্বিগুণ।
এরই মধ্য আবার খুলনা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং এটি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ খুলনার নিম্নাঞ্চল গুলো বৃষ্টি ও নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে মৎস্য চাষীদের ঘের প্লাবিত হয়ে আনুমানিক প্রায় শত কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে আশঙ্কা করছে মৎস্য চাষীরা ,সাথে স্থানীয় কৃষকদেরও ক্ষতি হয়েছে পর্যাপ্ত ফলে মৎস্য চাষী ও কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাচ পড়েছে । অপরদিকে খুলনা জেলার কয়রা, দাকোপ, বেতকাশি এলাকা জুড়ে নদীর পানি বেড়ে বেশ কিছু ভেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে জনবসতি এলাকায় পানি ঢুকে ঐসকল এলাকার বাসিন্দাদের বসবাসের ক্ষেত্রেও নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
নিম্ন-অঞ্চলে পানি জমে যাওয়ায় মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে যার কারনে ছোট নৌকা বা ডুঙ্গার সাহায্যে চলাচল করতে হচ্ছে।
এদিকে মুষলধরা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষক মনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলছেন বৃষ্টির কারণে মাঠ ভরা ফলনধরা লক্ষ লক্ষ টাকার শাকসবজি পচে নষ্ট হয়ে গেছে । এদিকে আবার শহরকেন্দ্রিক খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন কাজের অভাব হয়ে পড়েছে ফলে মানবেতর জীবন পার করতে হচ্ছে তাদের। আজ ১৪ জুলাই সকালে খুলনা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানিয়েছেন বৃষ্টি আরো কয়েক দিন চলতে পারে।
সাথে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমতে পারে । এ সময়ে আবহাওয়া অফিস থেকে আরো জানিয়েছেন চলমান নিম্নচাপটি আরো ঘণীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং একই সাথে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা ও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষক মৎস্য চাষী ও জনসাধারণকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে খুলনা আবহাওয়া অফিস। বিশেষ করে যারা নদীর তীরবর্তী বা নিচু এলাকায় বসবাস করেন তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক বার্তা দিয়েছেন অপরদিকে বঙ্গোপসাগর ও নদীবন্দর যে সকল জেলেরা ট্রলার ও নৌকা নিয়ে মৎস আহরণের জন্য রয়েছে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে এসে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।