রফিকুল ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধি
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো বাংলা কথাসাহিত্যের কিংবদন্তি লেখক ও কালজয়ী অসংখ্য চরিত্রের স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ এর ৭৫তম জন্মদিন ও হিমু পাঠাগার এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান।
বিরিশিরির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু সাহিত্যিক কবি আসলাম সানী।
এ আয়োজনে হিমু পাঠাগার পদক প্রদান করা হয়
বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজংকে। প্রধান অতিথির হাত থেকে তিনি সম্মাননা গ্রহণ করেন।
এর আগে কবি মামুন রণবীর এর সঞ্চালনা ও হিমু পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের কেক কাটেন অতিথিরা।
এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বর্ণালী আক্তার। হিমু পাঠাগারের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন পলাশ সাহা এবং নূর আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কবি আব্দুল্লাহ হক। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, লেখক-উপস্থাপক এডভোকেট শিমুল পারভীন,শিশু সাহিত্যিক মামুন সারোয়ার,ড. আব্দুর রাশিদ,গীতিকার সঞ্জীবন চক্রবর্তী,কবি অনিন্দ্য জসীম,রফিকুল ইসলাম মিরাজী,স্বপন হাজং,কবি জীবন চক্রবর্তী,কবি দুনিয়া মামুন,এম নূর আলম,কবি আবুল কালাম আজাদ,দিলোয়ার হোসেন তালুকদার,কাউন্সিলর ইব্রাহীম খলিল টিপু,ফাদার পাওয়েল,কবি জন ক্রসওয়েল খকসী,কবি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
এই আয়োজনে কবি আসলাম সানী বলেন,হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের নন্দিত লেখক,নতুন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং আমাদের এক কিংবদন্তি। তার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। তিনি নিজস্ব লেখনীর মাধ্যমে নূতন প্রজন্মের মাঝে বাংলা সাহিত্যকে যেভাবে ছড়িয়ে দিয়েছেন সেটি সত্যিই বিরল। তিনি সবার শ্রদ্ধেয় ছিলেন,আছেন,শ্রদ্ধেয় হয়েই থাকবেন। আজ হিমু পাঠাগারের এই অনুষ্ঠানে আমি বলবো তাদের আগামীর যাত্রা আরো অনেক নান্দনিক হোক।
এসময় তিনি হুমায়ূন আহমেদের লেখা “যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়” গানটি গেয়ে শোনান।