আব্দুল গাফ্ফার
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাড়ে চার হাজার অসহায়-দুস্থ মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২০অক্টোবর) বিকেলে ষষ্ঠীপূজার দিনে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মা ভবানী মন্দির প্রাঙণে ব্যবসায়ী অশোক রায়ের সহযোগীতায় এই বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্দির কমিটির নেতা দিলীপ কুমার দেব। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। আর সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তাঁর সহধর্মীণী বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি সুনন্দা রায়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সেইসঙ্গে পূজা উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ী অশোক রায়ের অর্থায়নে দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগের ভুয়সী প্রশাংসা করেন। পাশাপাশি সব ধর্মীয় উৎসবগুলোতেই দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের অন্যান্য বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আজমগীর হোসেন, মা ভবানী মন্দির পরিচালনা ও সংস্কার কমিটির নেতা অমৃত লাল সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডু সাংগঠনিক সম্পাদক বাধন কর্মকার কৃষ্ণ, উপজেলা কমিটির নেতা চন্দন চক্রবর্তী, পরিমল দত্ত, অপূর্ব চক্রবর্তী, তপন চক্রবর্তী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাড়ে চার হাজার অসহায়-দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি ও ধুতি কাপড় বিতরণ করেন।
এদিকে পূজা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে মা ভবানী মন্দির পরিচালনা ও সংস্কার কমিটির উদ্যোগে অনুরুপ কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানার সভাপতিত্বে ওই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ, গৌরদাস রায় চৌধুরী, এ্যাড. নরেশ মুর্খাজী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে হিন্দু-মুসলিম অস্বচ্ছল ৩০০ নারীদের মাঝে শাড়ি কাপড় বিতরণ করা হয়।