মো আমিরুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি।
দেবীগঞ্জ এলজিইডি প্রকৌশলীর প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, তদন্তে প্রমাণ প্রমানিত।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল এর অনিয়ম দূর্নীতি প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সাউন্ড সিস্টেম ও বাদ্যযন্ত্র ক্রয় প্রকল্পে পরিদর্শন করে কিছুই পাওয়া যায়নি,তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাবটিতে কোন আসবাবপত্র নাই।২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরনের মধ্যে, ১৪ টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে কথা বলে, ৭ টি প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন করেছে, ৩ টিতে আংশিক, বাকী ৪ টি প্রতিষ্ঠানে কিছুই দেওয়া হয়নি
উপস্থাপন করেছে তদন্ত কমিটি।ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান।
এর আগে বার্ষিক ও রাজস্ব উন্নয়নের অর্থ ভুয়া ভাউচার তৈরি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রকৌশলী। এমন সংবাদের পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান এর নজরে আনলে, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
সংবাদে বলা হয়েছিল, বার্ষিক ও রাজস্ব উন্নয়ন কর্মসূচি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের আওতায় পিআইসি কমিটির মাধ্যমে ২০ টি স্ক্রীম,ইজিপি টেন্ডারে তিনটি এবং আরএফকিউ চারটি টেন্ডার করা হয়।আরএফকিউ টেন্ডারের স্ক্রীম হল,দেবীগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সাউন্ড সিস্টেম ও বাদ্যযন্ত্র ক্রয়ে বরাদ্দ ৫ লাখ, উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী ক্লাবের আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ৫ লাখ, উপজেলার বিভিন্ন ক্লাবে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন ৫ লাখ ও রামগঞ্জ বিলাসির মোড় ভায়া চতুরাডাঙ্গী রাস্তার বক্স কালভার্ট সংলগ্ন এপ্রোচ সড়ক মেরামত বাবদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। তবে জানেই না প্রতিষ্ঠানগুলোর সভাপতি সম্পাদকসহ প্রধান শিক্ষকরা।
শিল্পকলা একাডেমীর ঘরটি পরিত্যক্ত জানালাও নাই।তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাবটি দীর্ঘ দেড় দুই বছর ধরে খোলা হয়না।সেখানকার সভাপতি ইউএনও অফিসে কর্মরত আজহারুল ও সম্পাদক কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সাজ্জাদ বলেন, কোন বরাদ্দ পাইনি।
উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সাউন্ড সিস্টেম ও বাদ্যযন্ত্র ক্রয় প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অন্যন্যা ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, আমাদের লাইসেন্স ব্যবহার করে প্রকৌশলী।তবে মালামাল দেওয়া হয়েছে।আমার সেখানে কমিশন বা কোন লাভ নাই।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী ক্লাবের আসবাবপত্র ক্রয় প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রাপ্তী ট্রেডার্স এর প্রোপাইটর রফিকুল ইসলাম জানান,ওই কাজের বিষয়ে জানি না।শুনে আপনাকে পরে জানাবো।