বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
জুলুম নির্যাতন অত্যাচার ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর দেশের ক্রান্তিলগ্নে জুলাই বিপ্লবের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতার এক অবিস্মরণীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে দেশের গুরু দায়িত্বভার প্রফেসর ডক্টর ইউনুস কে অর্পণ করার পর দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ দীর্ঘ ১৭ বছরের জুলুম অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও বর্তমান দেশের জনগণ তথা দেশ এখন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত।
ফলে জনগণের কাঙ্খিত প্রত্যাশার পূরণের লক্ষ্যে যথাসময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ভোট অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করে দেশের আপামর জনতার মনে শান্তি ফিরিয়ে দেওয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য দায়িত্ব অথচ এই নির্বাচন নিয়ে যত তালবাহানা শুরু করেছেন আপনারা আর নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশ তত বেশি অস্থিরতার দিকে পতিত হচ্ছে।
জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি। এরপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি। অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বরতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা মঙ্গলবার (২০ মে) হোটেল ওয়েস্টার্ন ইন-এ খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে থানা, ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পতিত পলাতক স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা কিন্তু সহজ হবে না। লোভ-লাভের প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অর্ন্তর্বতী সরকার অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে বাংলাদেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী গন। সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশীদ চৌধুরী মিরাজ, থানা সভাপতি কে এম হুমায়ূন কবির, শেখ হাফিজুর রহমান মনি, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, এ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আলী, থানা সাধারন সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আসাদুজ্জামান আসাদ, মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, থানা সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির ইকবাল বাপ্পী, মোঃ বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মোঃ নাসির উদ্দিন, মতলেবুর রহমান মিতুল, মোল্লা সোহাগ হোসেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সভাপতি শেখ আবু সাইদ, ইফতেখার হোসেন বাবু, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, মাসুদুল হক হারুন, মোল্লা মশিউর রহমান, মোঃ সালাউদ্দীন মোল্লা (বুলবুল), গাজী আফসার উদ্দীন, এস এম নুরুল আলম দিপু, শেখ মোস্তফা কামাল, আজিজুর রহমান, শেখ আব্দুল আলীম, শেখ হাবিবুর রহমান, কাজী নজরুল ইসলাম, মোঃ মাহমুদ আলম মোড়ল, লিটন খান, মোঃ সাইফুল আলম, সৈয়দ হাসান উল্লাহ বুলবুল, মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, মোঃ জাহিদুল হোসেন, সাহিনুল ইসলাম পাখি, হায়দার আলী তরফদার, কাজী মোঃ ইকরাম মিন্টু, লিয়াকাত হোসেন লাভলু, মোঃ খবির উদ্দীন, মোঃ জয়নাল আবেদিন, ইকবাল হোসেন মিজান, শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ বায়েজিদ, মেশকাত আলী, মঞ্জুরুল আলম, মোঃ নাজমুস সাকিব, মোঃ আমিন আহমেদ, মোঃ শওকত আলী বিশ্বাস লাবু, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আবুল ওয়ারা, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, মোঃ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, এ এম মাসুম বিল্লাহ, মোঃ খোদাবক্স কোরাইশী কালু, শেখ নুরুল ইসলাম, গাজী সালাউদ্দীন, খন্দকার ইকবাল কবীর, শেখ আনসার আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মীর শওকত হোসেন হিট্টু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুরাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, মোঃ ইয়াছিন মোল্লা, আব্দুল কাদের মল্লিক, ডাঃ শাহিন আহসান, মোঃ হালিম শেখ, মোঃ বাচ্চু শেখ, মিজানুর রহমান, শেখ মোঃ কবির হোসেন টিটো, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ রইচ উদ্দীন, শেখ আনোয়ার হোসেন, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, রবিউল ইসলাম রুবেল, মহিলা দলের সৈয়দা নার্গিস আলী, এ্যাড. হালিমা আখতার খানম, জাসাসের ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, কৃষক দলের সজীব তালুকদার, আদনান ইসলাম দীপ, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আলমগীর হোসেন তালুকদার, মহানগর শ্রমিকদলের শফিকুল ইসলাম শফি, ছাত্রদলের সৈয়দ ইমরান, মোঃ নুরুল হুদা পলাশ, সৈয়দ তানভীর অহম্মেদ প্রমুখ। সভা থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রর্বতক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৫দিনে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।