ধামরাই (ঢাকা)প্রতিনিধি :
ঢাকার ধামরাইয়ে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় এক প্রবাসীকে মারধর ও তার নিজ বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তাকে কয়েকঘন্টা আটকে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের উত্তর দীঘলগ্রামের মৃত আলমের ছেলে জাপান প্রবাসী রহিমের সাথে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রবাসী রহিম জানান, তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জাপানে প্রবাস জীবন যাপন করছেন। তিনি প্রবাসে থেকে মা বাবার ভরণপোষণ এর জন্য নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। গ্রামে তার তিন ভাই সোলায়মান, আব্বাস, আক্কাস গ্রামের বাড়িতে থাকেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসে তার নিজ গ্রাম উত্তর দীঘলগ্রাম বাড়ি গেলে তিনি দেখেন তার মা সেখানে নেই। মায়ের কথা জানতে চাইলে তার তিন ভাই জানান, মাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এসময় বাক বিতন্ডা হলে তিনি বাবার সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে বলেন ভাইদের। একথা বলাতেই তাকে বেধড়ক মারধর করে প্রায় দুই ঘন্টা আটকে রাখা হয়। পরে তার বন্ধু রাহাত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। মায়ের খোঁজ করে জানতে পারেন বোনের বাড়িতে আছেন, তিনি নিজেও এখন তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রবাসী রহিমের মা জানান, রহিম টাকা পাঠাইতো তাও ওরা আমারে ভাত কাপড় দেয় না। আমি এখন মেয়ের বাড়িতে থাকি। ওরা রহিমরে খুব মারছে। আমি চাই সম্পত্তিসহ বেবাক বিষয়ে একটা সুষ্ঠু বিচার হউক।
এদিকে অভিযুক্ত ভাইয়েরা জানান, রহিম ও বোনেরা মিলে আমাদের নামে মামলা দিছে। সম্পত্তি পাইলে নিবো কিন্তু সে তো আমাগো খোঁজ খবরই নেয় না।
প্রবাসী রহিমের স্ত্রী জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর আমার স্বামী তাদের গ্রামের বাড়িতে যান সেখানে তার তিন ভাই আমার স্বামীকে মারধর করে আটকে রাখে আমি তাদের বাড়িতে গেলে আমার স্বামীকে পাই নাই। তাই আমি থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করি। থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাদের ভাইদের আটক করে আনে। পরে সকলেই বলেন গ্রামে বসে মিমাংসা দিবেন। ০৫ দিন পার হলেও কোন মিমাংসা হয়নি।
এব্যাপারে ধামরাই থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগকারী ও অভিযুক্তরা গ্রামে মিমাংসা হবেন মর্মে চলে যান।