ধুনট, বগুড়া, প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনটে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন সহ তার দুই সহযোগী আরিফ ও রেজাউল ইসলামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক লোকমান হাকিম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার বাঙ্গালী, করতোয়া, ফুলজোড়, হুড়াসাগর নদী খনন প্রকল্পের শাকদহ এলাকার ১৮ লাখ ঘনফুট উত্তোলিত মাটি ও বালু বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় থেকে গত বছরের ১৫ আগষ্ট নিলামে বিক্রি করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রি করা চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের শাকদহ এলাকার ১৮ লাখ ঘনফুট বালু নিলাম ডাকে কিনে নেন বগুড়ার সদরের জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলমের নিকট থেকে ১৮ লাখ ঘনফুট মাটি ও বালু কিনে নেন ধুনট উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম খোকন। একই সাথে খনন করা মাটি রাখার জন্য স্থানীয় জমির মালিকদের প্রাপ্ত মাটি ও বালু কিনে নেন তিনি। শাকদহ পয়েন্টের কিনে নেওয়া মাটি ও বালু প্রায় অর্ধেক বিক্রি হওয়ার পরে গত ১৬ মার্চ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহিন তার সহযোগীদের নিয়ে শরিফুল ইসলাম খোকনের বালুর পয়েন্টে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার ম্যানেজার কোয়েল সরকারকে মারধর করে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এঘটনায় ২২ মার্চ শরিফুল ইসলাম খোকন বাদি রফিকুল ইসলাম শাহিন সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, একটি চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় উক্ত আসামিরা মঙ্গলবার দুপুরে জামিন আবেদন করলে বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।