মিজানুর রহমান
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মিডল্যান্ড ব্যাংক ঝাটুরদিয়া এজেন্ট শাখার গ্রাহকদের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ব্যাংকটির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
টাকা হাতিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে পলাতক রয়েছেন ব্যাংকটির ঝাটুরদিয়া এজেন্ট শাখার ম্যানেজার অলোক মন্ডল। ম্যানেজারের হঠাৎ পালিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাংকটির গ্রাহক, কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
জমাকৃত টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শত শত গ্রাহক। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ব্যাংক ও থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ব্যাংকটির মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী দশ খারদিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মিডল্যান্ড ব্যাংকে ১২ লাখ টাকা জমা রেখেছি। এখন শুনতে পাই ব্যাংকের লোকজন টাকা মাইরা পালিয়েছে। আমরা সব গ্রাহক মিলে ফরিদপুর কোর্টে মামলা করব। সরকারের কাছে দাবি আমাদের টাকা যেন ফেরত পাই সেই ব্যবস্থা নেওয়ার।’
আরেক ভুক্তভোগী আলেয়া বেগমের স্বামী আজিজুল হক বলেন, ‘আমার স্ত্রী মিডল্যান্ড ব্যাংকে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জমা রেখেছে। এখন ব্যাংকের সব লোকজন পলাতক রয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ। টাকা খোয়া গেলে আমরা পথে বসে যাব।
তিনি আরো জানান, ভাঙ্গা ও নগরকান্দা উপজেলার কয়েকশ গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে তারা। এই টাকা ফেরত না পেলে সবাই নিঃস্ব হয়ে যাবে।
ভাঙ্গা উপজেলার চান্দা গ্রামের সুশীল গয়লা জানান, তিন বছরের জন্য ৪৫ লাখ টাকা এফডিআর করে রেখেছিলেন তিনি। ব্যাংকের ম্যানেজার তার আত্মীয়। টাকা নিয়ে অলোক মন্ডল পরিবার নিয়ে ভারতে চলে গেছেন বলে তিনি জানান।
ভাঙ্গা উপজেলার ঝাটুরদিয়া গ্রামের মনিরা বেগম জানান, আমার দশ বছরের কষ্টের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা রেখেছিলাম, এখন শুনি ব্যাংকের লোকজন টাকা মাইরা পালাইয়া গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, মিডল্যান্ড এজেন্ট ব্যাংক ঝাটুরদিয়া শাখার গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। এ ঘটনায় ২-৩ জন ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। বিয়য়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ।
ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম মিডল্যান্ড ব্যাংক শাখার ম্যানেজার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, ‘বেশ কয়েকজন গ্রাহক আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের কাছ থেকে বিস্তাারিত শুনেছি, তাদের কাগজপত্র দেখেছি। তাদের একাউন্টে কোনো টাকা পয়সা জমা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।