মিজানুর রহমান
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দায় গলায় ওড়না পিচিয়ে এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যার। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন নিহতের মামা মোঃ বাবুল মাতব্বর(৫৩) পিতা- মৃত : আদেল উদ্দিন মাতুব্বর গ্রাম – মহেরশ্বরদী থানা- ভাংগা। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নং আমলী আদালত,ফরিদপুর মোকাদ্দমা: দঃ বিঃ ৩০৬/৩৪ ধারায় ২২/০১/২০২৪ ইং তারিখে ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলা নং,,,,,আসামীরা হলেন ১। সজিব মাতুব্বর ওরফে আলামিন(২২),কামাল মাতুব্বর (৪৮) পিতা- বারেক মাতুব্বর, সাহানা বেগম (৪৩) জং- কামাল মাতুব্বর, নান্নু মাতুব্বর (৫২) পিং বারেক মাতুব্বর, কবির মাতুব্বর (৪৫) পিত্- শাহজাহান মাতুব্বর সর্ব সাং কৌরবালী থানা – নগরকান্দা জেলা : – ফরিদপুর।
উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের কৌরবালি গ্রামের বাবলু মাতুব্বরের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি আক্তার ওরফে লামি (১৫) গত ১৪ ই জানুয়ারী রবিবার অনুমান সময় সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ৮ টায় বাড়িতে চাচার পরিত্যক্ত রান্না ঘরের মধ্যে আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করেন এবং লাশ পোস্টমর্টেম করার প্রক্রিয়া শেষ করেন।পারিবারিক ভাবে নিহতের লাশ দাফন সম্পুর্ন করেন।
নিহত বৃষ্টি আক্তারের ব্যবহৃত স্কুল থেকে পাওয়া মোবাইল টেপটি ও গলায় ফাঁস নেওয়া ব্যবহারকৃত ওড়না খুঁজে না পাওয়ায় নিহতর পরিবারের মাঝে ও এলাকার মানুষের মাঝে বৃষ্টির আক্তারের মৃত্যু নিয়ে চলে নানা গুঞ্জন।
বৃষ্টি আক্তারের মৃত্যুর পরে
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় একই গ্রামের কামাল মাতুব্বরের পুত্র সজীব মাতুব্বার ওরফে আলামিন(২২) এর সাথে মোবাইলে প্রেমের চ্যাটিং চলে আসছিল এবং আদালতের মামলার অভিযোগে জানা গেছে প্রেমের প্রলোভন দেখে বৃষ্টির সাথে দৈহিক মেলামেশা হয়।এছাড়া বৃষ্টি আক্তার শারীরিক মানসিক অসুস্থতা বোধ করে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে মামলার এক নং আসামী সজীব ওরফে আলামিনের পরিবারকে জানায়। সজীব বৃষ্টি আক্তারকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে।প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে খোলামেলাভাবে চালচলন সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ে সজীব ও তার পরিবার বিষয়টি এড়িয়ে যায় এবং বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন।আত্মহননের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করায় যে কারণে বৃষ্টি আক্তার আত্মহত্যা করেন। এছাড়া নিহতের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া অভিযোগ করেন।
আসামী সজীব মাতুব্বর ও তার পিতা কামাল মাতুব্বর ঘটনার দিন থেকেই পলাতক রয়েছে। আসামীদ্বয়দের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।