মিজানুর রহমান নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া গ্রামে চাচা’র দোকান ভাঙচুর – লুটপাট ও দখল এবং কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ২ ঘটিকায় দোকানঘর ভাঙচুর ও দোকানের জায়গা দখল নিয়ে দোকানঘর উত্তলন করার সময় দোকান মালিক জামাল মুন্সীর চাচা আনোয়ার মুন্সীর মেয়ে জামাতা মোঃ জাহিদ হাওলাদার (৪৫) পিতা মৃত জহুর হাওলাদার গ্রাম ভবুকদিয়া শশুর আনোয়ার মুন্সী ও চাচা শশুর আক্কেল আলী মুন্সীর দোকান ভাঙচুর ও দখল করার সময় তাদের জিজ্ঞেস ও নিষেধ করলে আসামী গন জাহিদ হাওলাদারকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। স্বামীকে মারপিটের খবর শুনে বাড়ি থেকে তার স্ত্রী মোছাঃ রাফিয়া বেগম ঠেকানোর জন্য এগিয়ে আসলে ১ নং আসামী জামাল মুন্সীর হাতে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করে। ২ নং আসামী তার আপন ভাই জহিরউদ্দিন মুন্সী তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে কোপ দিলে রাফিয়া বেগমের ডান হাতের আঙুল কেটে যায়।এসময় আহত হন জাহিদ হাওলাদারের শালিকা বেলি বেগম ও তার ভাই হাসান। গুরুতর আহত রাফিয়া বেগম ও বেলী বেগম ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনার সময় ৩ নং আসামী জহিরউদ্দিন মুন্সীর ছেলে সাইফুল মুন্সী(২০) নগদ ৩,০০০ টাকা ক্যাশ বাক্সের ড্রয়ার থেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। আক্কেল আলী মুন্সী বলেন আমরা তিন ভাই জলিল মুন্সীর দুটি দোকান, আমার একটি দোকান ও আমার ভাই আনোয়ার মুন্সীর দুটি দোকান ঘর আজ ৩০/৪০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি,গত ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার ভাতিজা জামাল মুন্সী, জহিরউদ্দিন মুন্সী তাদের দোকানঘর মেরামতের কাজ করে, এসময় আমার ঘরটি ভাঙচুর করে রাস্তার খাদে ফেলায় দেয় এবং দোকানের জায়গা দখল করে নেয়।এছাড়া আনোয়ার মুন্সীর দোকান ভাঙচুর করে কিছু অংশ দখল করে। আমিও আমার ভাই আনোয়ার মুন্সী তাদের নিষেধ করলে আমার ভাতিজা জামাল মুন্সী বলে আমি বিজিবি থেকে রেব চাকরি করি তোদের সবইকে খতম করে দিব।জামাল মুন্সীর স্ত্রী রেবেকা বেগম বলেন তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে আমাদের কেউ নেই। এবিষয় জামার মুন্সী বলেন আমি ঢাকায় অফিসে এসে যোগদান করছি। তিনি আরও বলেন আমাদের বাড়ির সামনে মহসড়কের পাশে সরকারি জায়গা আমিইতো দোকানঘর উত্তলন করবো। জাহিদ হাওলাদার বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় মামলা করেন।