জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর (নদীর ওপার) গ্রামে আখি ওরফে বন্যা বেগম নামে এক গৃহবধু বিরুদ্ধে দুই স্বামীর ঘর করার অভিযোগ করেছেন ২য় স্বামী হাবিব মৃধা। বিবাহের ৬মাস পরে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তাকে ধোঁকা দিয়ে তৃতীয় স্বামীর ঘর করছেন ওই গৃহবধু বলে জানিয়েছেন আখির ২ য় স্বামী । আখি ওরফে বন্যা বেগম ওই গ্রামের আলী মোল্যার মেয়ে ও ভুক্তভোগী স্বামী হাবিব মৃধা একই উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চরআড়িয়ারা গ্রামের মৃত গোলজার মৃধার ছেলে।
২৩ জুন (রবিবার) সকালে সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী হাবিব মৃধা জানায়, আখি ওরফে বন্যা বেগম অনুমান ২০১৫ সালে একই ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের শমীম শেখকে প্রথম বিবাহ করেন। ওই ঘরে তার একটা পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালে বাবা মায়ের প্রোরোচনায় শামীম শেখকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তালাক দেয় আখি ওরফে বন্যা।
অতঃপর ২০২৩ সালের শেষের দিকে আখির মা বাবার সম্মতিতে ঢাকায় চাকুরীরত চর আড়িয়ারা গ্রামের হাবিব মৃধাকে ২য় স্বামী হিসাবে বিবাহ করে ওই নারী। বিবাহের পর বাবার বাড়িতেই অবস্থান করে আখি। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি হাবিব ও আখি ঢাকায় সংসার শুরু করেন। একমাস পরে ঈদুল আযহার ছুটির কথা বলে আখির চাচা মোনায়েমের সাথে ৩ ভরী সোনা ও নগদ দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে চলে আসে আখি। তারপর থেকেই আখির ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ঈদের ছুটিতে হাবিব শশুর বাড়ী গিয়ে স্ত্রীকে না পেয়ে ফিরে আসে। এক পর্যায়ে জানতে পারে তার স্ত্রী তার বাবা মায়ের প্ররোচনায় ডিভোর্স না দিয়ে রোজার ঈদের পরদিন মাগুরা জেলার মোহাম্মদ পুর থানার পলাশ বাড়ী গ্রামের এক ছেলেকে বিবাহ করেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জিডি করবেন বলে জানিয়েছেন।
হাবিবের মামাত ভাই সোহেল খান, মামী হাসি বেগম ও ভাবী রোজিনা বেগম বলেন, ১ম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর হাবিব রামকান্তপুর গ্রামে বিবাহ করে। বিয়ের পরে ঢাকার বাসায় সংসার করেছে ওরা। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার ভাইকে তালক না দিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করছে ভাবী। এ ঘটনার বিচার চাই আমরা।
এ দিকে অভিযুক্ত আখি ওরফে বন্যা বেগমের মা আলেয়া বেগমকে ফোন দিলে তিনি বলেন, মেয়ে ঢাকার বাসায় ছিল। এখন কোথায় তা তিনি জানেন না। মেয়েকে কয়টি বিবাহ দিয়েছেন বলতেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ ছাড়া আখি ওরফে বন্যা বেগমকে তার ব্যক্তিগত (০১৯২০১২১৮৭৪) মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।