লোহাগড়া প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বাতাসি গ্রামে স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে স্বামীকে গ্রাম্য সালিশে জুতাপেটা শেষে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বররা।গ্রাম্য সালিশে দেয়া রায় শোনার পর ৩ দিন পর গনমাধ্যাম কর্মীরা ঘটনাস্থল যেয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের বাতাসি গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিনের (৩০) স্ত্রীর পরকীয়ার নাটক সাজিয়ে স্বামী ঘর ছেড়ে অন্য পুরুষের সাথে চলে গিয়ে আবার স্বামীর ঘরে ফিরে আসার অভিযোগ এনে গ্রাম্য মাতববর নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদ খানের নেতৃত্বে ওই গ্রামের প্রভাবশালী লোকজন গত তিনদিন আগে সালিশ বৈঠকে বসেন।সালিশে স্বামী নিজামুদ্দিনকে জুতাপেটা করা হয়।শুধু জুতাপেটা করে ক্ষান্ত হননি তারা।জুতাপেটার পাশাপাশি নিজামুদ্দিন ও তার স্ত্রীকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেন ওই মাতুব্বর।মাতববরের নির্দেশের পর নিজামুদ্দিনের বাড়িতে সাংবাদিকরা হাজির হলে তারা বক্তব্যদিতে রাজি হয় নাই কিন্তু সাংবাদিকরা সুকৌশলে স্বামী,স্ত্রী বক্তব্য নেন। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার ছড়িয়ে পড়লে সবার নজরে আসে। উল্লেখ্য যে নাজিম উদ্দিন নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা ছিলেন, স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করেন।স্ত্রী ছাড়া তার কোন আপন জন ওই এলাকায় নাই।
এ ব্যাপারেআওমীলীগ নেতা শহীদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিজামুদ্দিনের স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িত ছিলেন।ওই নারী সম্প্রতি স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্য পুরুষের সাথে চলে গিয়ে আবার স্বামীর ঘরে ফিরে আসে।যে কারণে গ্রাম্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাকে শাস্তিস্বরুপ জুতাপেটা করা হয়েছে।এছাড়া তাকে স্ত্রী নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।এ ধরনের রায় আইনসিদ্ধ কিনা সে ব্যাপারে তিনি বলেন,মুরুব্বীরা গ্রাম্যভাবে সালিশ করে বিভিন্ন ঘটনার বিচার করতেন।সেই ধারাবাহিকতায় এ সালিশটি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি।বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদ বলেন এমন ঘটনা আমার জানা নাই।একজন মানুসকে কেউ বাড়ি ছাড়ার ক্ষমতা রাখেন না। আমি এর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।