জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৩নং নোয়াগ্রাম ওয়ার্ডের আবু সাইদের বাড়ি হতে সামার ভিটা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের ২ লাখ টাকা সরকারি কাবিখা প্রকল্প কাজের ব্যপক অনিয়ম।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৩নং নোয়াগ্রাম ওয়ার্ডের আবু সাইদের বাড়ি হতে সামার ভিটা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের ২ লাখ টাকা সরকারি কাবিখা প্রকল্প কাজের ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ২০২৩/২৪ অর্থ বছরে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৩নং নোয়াগ্রাম ওয়ার্ডের আবু সাইদের বাড়ি হতে সামার ভিটা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য কাবিখা প্রকল্পে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের পিআইসি উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৩নং নোয়াগ্রাম ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ হাবিবুর রহমান। কিন্তু পিআইসি শেখ হাবিবুর রহমান সঠিকভাবে ওই প্রকল্পের কাজ করে নাই বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় শেখ মুজিবুর রহমান, রফিক শেখ, বাশার শেখ, দুলু শেখ, জামাল শেখসহ অনেকে বলেন এই রাস্তাটি অতিব গুরুত্বপূর্ন, এই রাস্তা দিয়ে ৩ গ্রামের কৃষকেরা ফসল তাদের বাড়িতে নেন। বর্ষা মৌসুমে ওই রাস্তায় চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর কারণে নড়াইল – ২ আসনের সংসদ সদস্য এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা সরকারি কাবিখা প্রকল্পের আওয়াতাধীন রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। স্থানীয়রা আরও জানান ওই প্রকল্পের পিআইসি হাবিবুর রহমান রাস্তায় ওই প্রকল্পে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কাজ করেছেন। তাতে প্রকল্পের ৪ ভাগের ১ অংশের সামান্য কাজ হয়েছে। বাকী টাকা পিআইসি (ইউপি সদস্য) হাবিবুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে পিআইসি (ইউপি সদস্য) হাবিবুর রহমান মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে দিঘলিয়া ইউনিয়নবাসী এক হয়ে হাইকোর্টে মামলা করলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমি সরকারি আদেশে কাজ করেছি। আমি ইচ্ছামত কাজ করবো বুঝবে সরকার। আমি একটি রাজনৈতিক দল করি।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইসরাফিল বলেন পিআইসি হাবিবুর রহমান ওই প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন। কাজে ব্যাস্ত আছি পরে কথা বলবো বলে এড়িয়ে যান।