নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:
“নবীগঞ্জে এক গৃহবধূ ও শিশু সন্তানকে অপহরনে ব্যর্থ হয়ে হত্যার চেষ্টা, জনতার হাতে ডেগারসহ ধরাশায়ী দুরুদ’কে পুলিশে সোর্পদ” সংবাদ প্রকাশের জের ধরে হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস পত্রিকার নবীগঞ্জ ব্যুরো চীফ ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি এটিএম সালাম’কে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রাণনাশের হুমকীর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয়, টুকের বাজারে দুরুদ মিয়া ও তার পিতা কুখ্যাত মদখোর জিতু মিয়াকে ধাওয়া করেন স্থানীয় জনতা। এতে সন্ত্রাসী দুরুদ মিয়ার কুটির জোর কোথায়? প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। প্রাপ্ত সুত্রে জানাযায়, উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ছোট সাকুয়া গ্রামের কুখ্যাত মদখোর জিতু মিয়ার ছেলে বহু বিয়ের নায়ক দুরুদ মিয়া প্রায় ৭/৮ বছর আগে ফুসলিয়ে বিয়ে করেন নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের নিরীহ আয়াত আলীর মেয়ে জাইরুন বেগমকে। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বছর খানেক পূর্বে জাইরুন বেগম রোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট দিয়ে স্বামী দুরুদ মিয়াকে তালাক প্রদান করেন। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে তালাকনামা রেজিষ্ট্রারী করা হয়। এরপর থেকেই সন্ত্রাসী দুরুদ মিয়া জাইরুন বেগমকে পুণঃরায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য নানা জায়গায় দৌড় ঝাপ শুরু করে। জাইরুন বেগম ও তার পরিবার তার ফাঁদে আর পা দিতে সম্মতি না দেয়ায় এই নিরীহ পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকী দেয়। তার অনাগত হুমকীর কারনে জাইরুন বেগম থানায় অভিযোগ দিলে দরখাস্তটি এএসআই শুভ্রত বাবুর কাছে ন্যস্ত করেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এতে কোন লাভ হয়নি। বিগত ১ না মার্চ নবীগঞ্জ শহরের জনৈক ডাক্তারের কাছে অসুস্থ শিশু কন্যাকে নিয়ে আসেন জাইরুনের বোন খালেদা বেগম ও সুহেনা বেগম। খবর পেয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাক্তারের চেম্বারের আশপাশে ঘুরাঘুরি করে দুরুদ। এক পর্যায়ে ডাক্তার দেখানো শেষে খালেদা ও সুহেনা বেগম শিশু কন্যাকে নিয়ে রিক্সায় উঠার সময় শিশুটি অপহরণের জন্য ঝাপটে ধরে। এসময় সুহেনা বেগম চিৎকার দিলে সন্ত্রাসী দুরুদ মিয়া তার কোমড়ে থাকা ধারালো ডেগার দিয়ে তাদের প্রাণেহত্যার চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। পুলিশ তাকে ১৫৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে, ওই দিনই সে জামিনে ছাড়া পায়। এরপর থেকেই উক্ত দুরুদ মিয়া ও তার পিতা জিতু মিয়া ফোনে ও প্রকাশ্যে দিবালোকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালামকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করেন। বিষয়টি একাধিকবার ছোট সাকুয়া এলাকার মুরুব্বীদের অবহিত করা হলে তারা এদের বাপছেলের বিচার করতে অনীহা জানান। সম্প্রতি এটিএম সালাম পৌর এলাকার মায়ানগর গ্রামে একটি বিরোধীয় বিষয়ের শালিসে যোগদিলে উক্ত দুরুদ মিয়া প্রকাশ্যে হামলা ও হত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয় মুরুব্বীয়ানদের জানালে তারা দুঃখ প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার (৪ঠা জুন) বেলা ২ টার দিকে সাকুয়া বাজার (টুকের বাজার) এলাকায় সন্ত্রাসী দুরুদ মিয়া ও তার পিতা জিতু মিয়া প্রকাশ্যে সাংবাদিক এটিএম সালামকে হাকডাক দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার ঘোষনা দেয়। এ সময় ওই সাংবাদিকের স্বজনরা তাদের প্রতিরোধ করে। এতে স্থানীয় লোকজনও সন্ত্রাসী দুরুদ ও তার পিতা জিতু মিয়াকে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে এটিএম সালামের এলাকাসহ ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের অনাগত হুমকীর কারনে সাংবাদিক সালাম ওই এলাকায় সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি কর্মকান্ডে যেতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক সমাজের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং দ্রুত সন্ত্রাসী দুরুদ ও তার পিতা জিতু মিয়াকে গ্রেফতারের দাবী জানানো “হয়েছে। এ ব্যাপারে এটিএম সালাম বলেন, আত্মমর্যাদা বিবেচনায় এতো কাউকে জানানো হয়নি। বর্তমানে ধৈর্য্যের চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। এ বিষয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।
