আব্দুল গাফ্ফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জামুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ সাতটি পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির চারজন অভিভাবক সদস্য যথাক্রমে একরাম হোসেন, আবু সাঈদ, ফিরোজ আলম ও রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে বগুড়া জেলার সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না- তা জানাতে আগামি এক কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মামলার বাদি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় জামুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মোশারফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুমন জিহাদী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এক নম্বর বিবাদী মো. মোশরাফর হোসেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে যোগসাজন করে দীর্ঘ তের বছর ধরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ আকড়ে ধরে আছেন। সেইসঙ্গে স্ব-ঘোষিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগসাজস করে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত ও নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ সাতটি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। এমনকি এসব পদে চাকরি প্রত্যাশীদের নিকট থেকে চুক্তি মাফিক মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করেই ওই নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। তাই কমিটির সিংহভাগ সদস্যের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দেওয়া নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার করার জন্য গত বুধবার (১৪ফেব্রুয়ারি) আদালতের দ্বাড়স্থ হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বেশকিছুদিন ধরে মাদ্রাসার সাতটি পদ শুন্য থাকায় জনবল সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে যথাযথ চাকরি বিধি মেনে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। কিন্তু কমিটির কতিপয় সদস্য অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে হয়ে নিয়োগ কার্যক্রম ব্যহৃত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এসব করে কোনো লাভ হবে না। মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এছাড়া নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়ে তাদের কোনো তথ্য জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।