রাশেদুল ইসলাম
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
কথায় আছে মাঘের শীতে বাঘ ও পালায়।কথাটি প্রবাদ হলে এ বছর মাঘের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। উত্তরের জেলা গুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকলে ও বাড় পড়েনি নোয়াখালী জেলা । এ বছর নোয়াখালীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যা গত কয়েক বছর গুলোর তুলনায় ভিন্ন ।
গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি)থেকে তাপমাত্রা কমে (১৬জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ডিগ্রি সেলসিয়াস।তাছাড়া গত রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হিম শীতল পরিবেশে চোখে পড়ে, এতে জনজীবনে নেমেছে চরম দুর্ভোগ।
সকাল থেকে দুপুরের পর ও দেখা মিলে না সুর্যের। কিছু সময়ের জন্য সুর্যের দেখা মিললে ও তা আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। গত চার দিন ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলে সুর্যের লুকোচুরি খেলা।সকাল বেলায় রাস্তায় দেখা নেই গাড়ির।এতে সরকারি -বেসরকারি চাকুরীজীবি ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বেকায়দায়। সাইমা নামে এক জন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী জানান -গত কয়েক দিন ধরে রাস্তায় গাড়ি পাচ্ছি না। পুরোটা পথ যেতে হয় হেটে।সকাল বেলা গাড়ি কেন চলে না জানতে চাইলে গ্রাম অঞ্চলে চলাচল করা (অটো ড্রাইভার) -সাইফুল জানান সকালে তীব্র শীত গাড়ি বের করা অসম্ভব হয়, ঠান্ডা এবং গন কুয়াশা রাস্তা হয়ে পড়ে মরণ ফাঁদের মতো যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা যার কারণে আমরা একটু দেরি করে গাড়ি বের করি।
এদিকে দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীনতার কারণে ভুগছেন খাদ্য সংকটে। বিগত বছরে শীতার্থ মানুষের মাঝে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের শীতের কাপড় ও কম্বল বিতরণ করতে দেখা গেলেও এ বছর এখনো এমন কার্যক্রম চোখে পড়ার মত নয়। কিছু ইউনিয়নে এখনো বিতরণ হয়নি শীতের কম্বল।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার প্রতিবেদক কে বলেন, প্রকৃতির এই অসহনীয় অবস্থান চলতে থাকলে আরো বাড়তে পারে রোগবালাই , আরো বেশি সংকটাপন্ন হতে পারে জনজীবন। তবে সংকট মোকাবেলায় সকল উপজেলাতেই রয়েছে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
এই ব্যাপারে নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত তিনদিন ধরেই শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে । এ অবস্থা আরও কয়েকদিন যাবত বিরাজমান থাকতে পারে এবং বৃষ্টির প্রভাবে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।