পঞ্চগড় প্রতিনিধি, মোঃ আমিরুল ইসলাম
পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি গরের মধ্যে ভিতরগরে একটি অন্যতম জায়গা এখানে অবস্থিত রয়েছে ঐতিহাসিক মহারাজা দিঘী।
এই মহারাজার দিঘির পার ঘিরে অসংখ্য প্রকৃতির সৌন্দর্যের নীলা ভুমিতে বিভিন্ন পাখির কলকাকুলিতে মুখরি সর্বক্ষণ।
এখানে আসলে মনে হবে যে এক প্রকৃতির অন্য জগতে এসেছি, ঐতিহাসিক মহারাজার দিঘীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে অসংখ্য বনভূমি।
শীতকালে এখানে অতিথি পাখি সহ দেশি পাখিদের কলকাকুলিতে মন ভরে যায় সেই সাথে দৃষ্টি কেড়েছে দর্শনার্থীদের , অপরূপ নিদর্শন যে কারো, যা মন কারবে এত কোনো সন্দেহ নেই।
তবে কালের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি মহারাজার দিঘীটির।
দেশ-বিদেশের পর্যটকরা মহারাজার দিঘীর নাম শুনে এখানে আসে ঘুরতে কিন্তু এই পৃথ্বীরাজার হাতে গড়া দিঘি ছাড়া আর অন্য কিছুই নেই এখানে। এই ঐতিহাসিক দিঘী ঘিরে রয়েছে মানুষের মনে নানান জল্পনা কল্পনা,
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় সত্যের যুগে এই দিঘির পাড়ে এসে কেউ কিছু চাইলে তা দিঘির গভীর থেকে ভেসে উঠতো।কিছু অসৎ মানুষের প্রবঞ্চনায় এখন আর নেই সেই রিতী।
এই দিঘীতে রয়েছে অনেক পুরনো মাছ। মাঝেমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে টিকিটের মাধ্যমে এখানে অনেক মাছ শিকারীরা মাছ ধরতেও আসে।
তবে দেশ-বিদেশ থেকে আশা পর্যটকরা জানান আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি এই ঐতিহাসিক মহারাজা দিঘী দেখতে তবে এখানে এসে আমরা বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি এরমধ্যে নেই পাবলিক টয়লেট, ভালো খাবারের হোটেল, তাছাড়া পর্যটকদের দাবি সরকারিভাবে এই ঐতিহাসিক মহারাজার দিঘীটির সস্কারের কাজ করলে এলাকা সহ পঞ্চগড় জেলার অনেক উন্নতি হবে বলে ধারণা করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেলা পরিষদ থেকে একটি গেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছিল যা বর্তমানে ব্যবহারের অনুপোযোগী ও পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।