পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড় আদালতের চার বিচারকের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।এরপর চার দিন হলেও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায়, আদালত ফটকে তালা দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটায় এই কর্মসূচি শুরু করে তারা।এ সময় তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ এবং আদালতের ভিতরে আটকা পরে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার পথচারী ও বিচার প্রার্থীরা। রাত আটটায় জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী ঘটনাস্থলে এসে বিচারকদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করলে, আন্দোলনকারীরা চলে যায়।এতে প্রায় ছয় ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তেঁতুলিয়া থেকে আসা আতাউর রহমান বলেন,দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে ছিলাম বাসে বাড়ি যাবো।পরে উপায় না পেয়ে অনেকটা পথ হেঁটে আসে অটোতে যাচ্ছি।এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক সময় ও অতিরিক্ত খরচ হবে।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ট্রাক চালক আবু হাসান বলেন,সড়ক অবরোধ করায় এই দুপুর থেকে বসে আছি, কখন ছাড়বে কখন রওনা দিবা।অবরোধ না হলে এতক্ষনে পৌঁছাতাম।
আন্দোলনকারীরা জানায়,পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম , চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও বিচারক আশরাফুজ্জামান ও আবু হেনা এখনো আওয়ামীলীগ সরকারের দোসরের ভূমিকা পালন করছেন।আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ,দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন।যতখন পর্যন্ত এই চার বিচারককে এই জেলা থেকে অপসারণ করবে না ততক্ষন পর্যন্ত কোর্টের মুল ফটক সহ চার গেট ও রাস্তা অবরোধ থাকবে।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, সহ সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান ফয়সাল প্রধান ও মোজাহার ইসলাম সেলিম প্রমুখ বক্তব্য দেন ।
বক্তারা বলেন-আদালতের চার বিচারক আওয়ামীলীগ সরকারের দোসরের ভূমিকা পালন করছেন।আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক। আগস্ট বিপ্লবের পরেও যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তারা আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর।