বিপ্লব সরকারঃ স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন ফসলী জমিতে প্রতিপক্ষের লোকজন জবরদখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
জবরদখল কারীদের সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী নুর মোহাম্মদের পরিবারের। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে অসহায় সৌদি পরিবারটি ।
এমন অভিযোগ পত্নীতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী গ্রামের ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী নুর মোহাম্মদ তার স্ত্রী মালা বিবির ও ভাই মজিদ উদ্দিনের।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, ৩৫ সূত্রে জমির মালিক তারা, কিন্তু তাদের এক শরিক সাফ কবলা দলিলে সেই জমি বিক্রি করে দেন। সেই থেকে জমিটিতে প্রতিবেশী সামসুল হক, শহিদুল ইসলাম ও আতোয়ার রহমান ধানী জমিতে মাটি ভরাট করে ভোগদখল করে আসছেন।
অভিযুক্ত সামসুল হক, শহিদুল ইসলাম ও আতোয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় সৌদি প্রবাসী নুর মোহাম্মদ আলীর পরিবারের লোকজন নানানভাবে আমাদের বাড়ি নির্মাণের বাধা সৃষ্টি করছেন।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে নওগাঁ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসীর ভাই নুর মোহাম্মদ। এরপর আদালতের নির্দেশে এই বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু সামসুল হক, শহিদুল ইসলাম ও আতোয়ার রহমান আদালতের আদেশ অমান্য করে নিষেধাজ্ঞার জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করেছে। অথচ গত ১৭ জুলাই ওই বিরোধপূর্ণ জমির দখল ও মালিকানা সরেজমিনে তদন্ত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন নওগাঁ আমলী আদালত।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এনায়েতুর রহমান বলেন, আদালতের আদেশে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে দুই পক্ষকে ডেকে শান্তি বজায় রাখা জন্য বিশেষ প্রস্তুতি চলছে। তবে, ওই জমিতে কেউ ঘর নির্মাণ করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে এ সংক্রান্ত আদালতের যে কোনো আদেশ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।