-আবুজর গিফারী
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতেই ভয়ানক ‘আদিবাসী’ তৎপরতা
স্বাধীনতার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপতৎপরতা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শান্তিচুক্তি পূর্ববর্তী পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদি গোষ্ঠী। চুক্তি পরবর্তী সময়ে নতুন কৌশলে ‘আদিবাসী’ নামক অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে এ তৎপরতা জোরদার করছে একই গোষ্ঠী। প্রতি বছর ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে এই তৎপরতাকে জোরদার করতে দেখা যায়।
সরকারের গোপন এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এমন ‘আদিবাসী’ দাবির পক্ষে কিছু গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ বুঝে না বুঝেই সাফাই গাইছেন। এমনকি সরকারের কিছু এমপি-মন্ত্রীও সরকারের অবস্থানকে অবজ্ঞা করে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির পক্ষে কথা বলছেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘসহ বিদেশি অপশক্তির চাপে স্বীকৃতি দিলে তা বাংলাদেশের অখণ্ডতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
বিশ্লেষকরা ২০০৭ সালে প্রকাশিত ‘আদিবাসী বিষয়ক জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র’ বিশ্লেষণ করে বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি দিলে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার তথা স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। এর ফলে বাংলাদেশের এক দশমাংশের পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে। তারা যদি মনে করেন বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে পৃথক রাষ্ট্র গঠন করবেন তাও পারবেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রে থাকলেও তারা যে অঞ্চলে বাস করে সেই অঞ্চলের ভূমির মালিকানা বাংলাদেশের হবে না এবং সে অঞ্চলে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। যদিও তারা আদিবাসী স্বীকৃতির যোগ্য নন।
এদিকে, আদিবাসী বিষয়ে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে বর্ণিত মানদণ্ড বিবেচনা করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আদিবাসী (Indigenous) অভিহিত না করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতি (Tribal) হিসেবে অভিহিত করে আসছে বাংলাদেশ। শান্তিচুক্তি ও সর্বশেষ পঞ্চদশ সংশোধনীতেও তাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/উপজাতি হিসেবে উল্লেখ করে সমান নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (জাতিসংঘ অনুবিভাগ) ২০০৫ সালের ২৫ জুলাই এক পরিপত্রে জানায়, আদিবাসী জনগোষ্ঠী তারাই যারা যুগ যুগ থেকে তাদের বর্তমান আবাসভূমিতে বাস করে আসছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের রেড ইন্ডিয়ান এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবর্জিন। এ বিবেচনায় জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উপজাতি গোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত না করে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী চিহ্নিত করে আসছে।
এতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ ফোরামে ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশহগুলোও তাদের উপজাতি জনগোষ্ঠীদের কখনও ‘আদিবাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে না। এ দুটি শব্দকে সমর্থক হিসেবে ব্যবহৃত করা জাতিসংঘে আদিবাসী সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থানের পরিপন্থি। এ হিসেবে ৯ আগস্ট জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’ পালন করে না বাংলাদেশ। এরপরও কিছু গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আদিবাসী ও উপজাতি বিষয়ে জাতিসংঘের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দু’টি চার্টার ১৯৫৭ (১০৭) ও ১৯৮৯ (১৬৯) এবং ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ৬১তম অধিবেশনে ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্র’ রয়েছে। এ তিনটি বিষয় পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কর্তৃক উপজাতি ও আদিবাসী সংজ্ঞার মূল পার্থক্য হচ্ছে নির্দিষ্ট রাষ্ট্রে বংশানুক্রমে বসবাস বা অধিকৃত হওয়ার বা উপনিবেশ সৃষ্টির পূর্ব থেকে বসবাস করা। অর্থাৎ একটি জনগোষ্ঠী উপজাতি অথবা আদিবাসী হবেন উপর্যুক্ত শর্তের ভিত্তিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএলওর এই সংজ্ঞাটি যদি বাংলাদেশের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের ক্ষেত্রে বিচার করা হয় তাহলে পরিষ্কার বোঝা যায় এরা আদিবাসী নয়; উপজাতি। সেই বিচারে বাংলাদেশের ‘আদিবাসী’ বা আদি-বাসিন্দা হচ্ছে এদেশের বাঙালি কৃষক সম্প্রদায়, যারা বংশ পরম্পরায় শতাব্দির পর শতাব্দি মাটি কামড়ে পড়ে আছে। আদিতে তারা প্রকৃতি পুঁজারী, পরবর্তীতে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ খ্রীষ্টান যে ধর্মের অনুসারীই হোক না কেন।
ইতিহাসবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ৪৫টি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার এতদঞ্চলে আগমণ কয়েকশ’ বছরের বেশি পূর্বে নয়। পার্বত্য চট্টগ্রঠামের প্রধান উপজাতি চাকমাদের আদি বাসস্থান ছিল আরাকান। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে আশ্রয় নেয়। ত্রিপুরাদের আদি বসবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এবং মারমা জনগোষ্ঠী এসেছে বার্মা থেকে। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে বিতাড়িত হয়ে এদেশের নানা স্থানে আশ্রয় নিয়ে আনুমানিক তিনশ’ থেকে পাঁচশ’ বছর পূর্ব থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বসবাস করতে শুরু করেছে। এর বাইরে বাকি উপজাতিদের অধিকাংশেরই বৃহত্তর অংশ রয়েছে প্রতিবেশী ভারতে। ক্ষুদ্রতর একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে আগে-পরে বাংলাদেশে এসেছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, জেএসএস প্রধান সন্তু লারমা ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তিতে স্বেচ্ছায় নিজেদের উপজাতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ হঠাৎ বিদেশিদের চক্রান্তে এখন আদিবাসী দাবি করছেন। তিনি বলেন, আমাদের বাপ-দাদা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। এখানে আমরাই আদিবাসী। আর তারা বহিরাগত। তবে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সমান সুযোগ-সুবিধার অধিকার রাখে।
ভূ-রাজনীতি ও উন্নয়ন গবেষক ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার কিছু সংস্থা এখন দেশে দেশে ‘আদিবাসী’ খুঁজে বেড়াচ্ছে। খ্রীষ্ট-ধর্ম প্রচারে অতি-উৎসাহী-কিছু চার্চ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে মাত্র ৫ হাজার জনসংখ্যার কোনো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির সন্ধান পেলেই তাকে টার্গেট করে কাজ শুরু করছে। দান-দক্ষিণা দিয়ে টার্গেট জনগোষ্ঠীর কাছে তারা হয়ে ওঠেন ত্রাণ-কর্তা। অতঃপর চলতে থাকে চিহ্নিত জনগোষ্ঠীকে তার পারিপার্শ্বিক বৃহত্তর জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া।
এ কাজে স্থানীয় দোষররা অর্থের বিনিময়ে তাদের হয়ে কাজ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষাবিদ ও সমাজ উন্নয়ন গবেষক অধ্যাপক মাহফুজ আহমেদ বলেন, জাতিসংঘ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্র’ জারি হওয়ার পর হঠাৎ করে তারা নিজেদের ‘আদিবাসী’ বলে দাবি করতে শুরু করেন। এরকম হঠাৎ করে আদিবাসী হতে চাওয়ার নজির বিশ্বে আর কোথাও নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র প্রযোজ্য নয়। ঘোষণাপত্রটির উদ্দেশ্য মহৎ হলেও এটি অনেক ক্ষেত্রে সংগতিপূর্ণ নয় এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা বা সার্বভৌমত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুর রবের অভিমত, ‘এক শ্রেণির মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলে ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। এক কথায় বললে এরা মূর্খ। এদের কারো এনথ্রোপলজি, সোসিওলোজি, ইতিহাস, ভূগোল এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, আদিবাসী ও উপজাতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। আর যারা জেনে বুঝে এ কাজ করছে তারা বিভিন্ন পারিতোষিক, বৃত্তি, উচ্চ বেতনের চাকরি প্রভৃতির লোভেই করছে।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, উপজাতিরা যদি আদিবাসী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায় তাহলে বাংলাদেশের জন্য তা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে। এর ফলে তারা এমন কিছু অধিকার পাবে যা বাংলাদেশ সংবিধানের পরিপন্থি।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামে’র সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, আদিবাসী শব্দটি উল্লেখ না করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি আমরা মেনে নেইনি। সরকারের ভেতরে একটা গ্রুপ রয়েছে যারা আদিবাসী ধারণার পক্ষে বলে দাবি করেন তিনি।
গোপনীয় প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে পার্বত্য জেলাগুলো থেকে বাঙালীদের উচ্ছেদ ও পার্বত্য অঞ্চলে স্বায়ত্ত্বশাসন প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ উপজাতী অনেকেই খ্রিস্টান হয়ে গেছে এবং ভারতের সংশ্লিষ্ট সীমান্তবর্তী এলাকায় (মিজোরাম, মনপুর, নাগালন্ড, ত্রিপুরা) একই অবস্থা। আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ও বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চল এবং মিয়ানমারের একাংশ নিয়ে বিদেশি চক্র খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনে তৎপর রয়েছ। ইউএনডিপি, এডিপি, ডানিডাসহ বিভিন্ন বিদেশি চক্রের প্ররোচণায় প্ররোচিত হয়ে কতিপয় বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, বামপন্থি ও স্থানীয় উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তারা বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, আদিবাসী সম্মেলন, আদিবাসী মিছিল, আদিবাসী র্যালি, আদিবাসী সংস্কৃতিক উৎসবপালনসহ টিভি রেডিও ও সংবাদপত্রে নতুন নতুন খবরের সূত্রপাত ঘটাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে জাতিসংঘ শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রথম চার্টার (১০৭) পাস হলেও এ পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র ২৭টি দেশ এই কনভেনশনটি র্যাটিফাই করেছে। ১৯৭২ সালের ২২ জুন বাংলাদেশও কনভেনশন ১০৭ র্যাটিফাই করেছিল। পরে কনভেনশন ১৬৯ পাস হওয়ার পর পূর্বোক্ত কনভেনশন ১০৭ তামাদি হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ অদ্যাবধি কনভেনশন ১৬৯ র্যাটিফাই করেনি। তাই এটি আমাদের দেশের জন্য অবশ্য পালনীয় নয়। এখানে লক্ষণীয় যে এরই মধ্যে ৮টি দেশ এই কনভেনশনকে নিন্দা করে তা থেকে বেরিয়ে গেছে। অন্যদিকে ১৯৮৯ সালে পাস হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশ এই কনভেনশনটি র্যাটিফাই করেছে। এই উপমহাদেশের একমাত্র নেপাল ছাড়া আর কোনো দেশ এই কনভেনশনটি র্যাটিফাই করেনি।
অন্যদিকে, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে জাতিসংঘের ৬১তম অধিবেশনে আদিবাসী বিষয়ক যে ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে ভোটদানের সময় ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ৪টি দেশ বিপক্ষে, ১১টি দেশ বিরত এবং ৩৪টি দেশ অনুপস্থিত থাকে। বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত থাকে। বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র।
বিস্ময়কর অথবা পরিহাসের ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের তথাকথিত আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় খুব সোচ্চার ও পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর বেশিরভাগই কিন্তু নিজ দেশের জন্য আইএলও কনভেনশন ১০৭ বা ১৬৯ ও জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্রের সিগনেটরি নয়, পক্ষে ভোট দেয়নি এবং র্যাটিফাইও করেনি। সুতরাং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলো আদিবাসী নয় বরং উপজাতি। তাই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির কোন মানে হয় না বিষয়টা মীমাংসিত।