মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের নদী বেষ্টনী চরকিশোরগঞ্জ কাশেম নগর এলাকায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার বিকাল আনুমানিক ৪ টার দিকে স্থানীয় ব্যাবসায়ী মেহেদি শিপিং লাইনসের স্বত্বাধিকারী আবুল কাশেম চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়।অতর্কিত হামলায় বাড়ীতে থাকা ৪/৫ বছরের ইয়ামিন নামের এক শিশু সহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছে।সেই সাথে বাড়ীর দরজা-জানালা ভেঙে আবুল কাশেমের নিজ বাড়ির অফিসে ঢুকে অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে চেয়ার টেবিল সহ নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো নিয়ে যায়।অফিসে একটি সেমি টেবিল ও একটি সাইনবোর্ড ছাড়া অবশিষ্ট আর কিছুই রেখে যায়নি হামলাকারীরা।হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে গেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়-আবুল কাশেমের দ্বিতীয় তলা বিল্ডিংয়ের প্রথমতলার দরজা-জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে।আবুল কাশেমের নিজ অফিসে কাঁচের গ্লাস ভাঙা ও একটি সেমি টেবিল এবং একটি সাইনবোর্ড পড়ে রয়েছে।আবুল কাশেমের সাথে কথা হলে তিনি অশ্রু ভেজা নয়নে বলেন-আমার তিন ছেলে প্রবাসী,চর কিশোরগঞ্জ কাশেমনগর গ্রাম ও পোস্ট অফিস কাশেম নগর আমার নামে নামকরণ করা হয়।কাশেম নগরে আমার নিজ অর্থায়নে একটি মাদ্রাসা,কবরস্থান,স্কুল সহ ছোটখাটো রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কাজ করেছি।সেই সুবাদে এলাকাবাসী আমাকে অনেক ভালোবাসে।তিনি আরো বলেন-ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আমার বর্তমান বসবাস, ব্যবসার কাজে সপ্তাহের ২-৩ দিন কাশেম নগরে এসে এলাকার লোকজনদের খোঁজ-খবর রাখি।সারাদেশের বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের কারণে সব কিছু স্থবির হয়ে যায়।সেই কারণে আমি আমার এলাকায় আসি।বুধবার বিকেলের দিকে আমার বাড়ির নীচ তলায় আমি অফিস থেকে দ্বিতীয় তলায় একটি ব্যবসায়িক ফাইলের জন্য উপরে উঠি।হঠাৎ আচমকা বিকট শব্দের আওয়াজ শুনি,দ্বিতীয় তলায় বারান্দায় উঁকি মেরে দেখি চর কিশোরগঞ্জ কাশেম নগর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোফাজ্জল তার বাহিনীর খোরশেদ,সিদ্দিকুর রহমান মজনু,নিলয়,নিশাত সহ আরো ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রেসজ্জিত হয়ে আমার বাড়ির নীচতলার দরজা জানালা ভেঙে ফেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে।আমি ভয়ে বের না হয়ে আত্মরক্ষার জন্য দ্বিতীয় তলার কেচি গেট লাগিয়ে দেই।মোফাজ্জল বাহিনী আমার নীচতলায় প্রায় আধা ঘন্টা ধরে তাদের তাণ্ডব চালিয়ে আমার রুমের প্রতিটি গ্লাস ও দরজা জানালা ভাঙচুর করে,সেই সাথে আমার অফিসে ঢুকে একটি সেমি টেবিল ও সাইনবোর্ড অবশিষ্ট রেখে,অফিসের চেয়ার টেবিল সহ সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।আমার অফিস টেবিলের ড্রয়ারে লেবারের বিল দেওয়ার জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিলো।মোফাজ্জল বাহিনীর ভয়ংকর রূপ দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি।তান্ডবের আধা ঘন্টা পর এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে,দ্বিতীয় তলা থেকে আমাকে নীচে নামতে বলেন।তারপর আমি নীচে নেমে দেখি,মোফাজ্জল বাহিনী তান্ডব চালিয়ে আমার নীচ তলা সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।আমি আমার লেবারের বিল পর্যন্ত দিতে পারিনি।এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান-মোফাজ্জল বাহিনী পূর্ব শত্রুতার জেরে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।এলাকাবাসী আরো বলেন-মোফাজ্জল বাহিনী এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে কিছুদিন পূর্বে এক প্রবাসীকে মারধর করেছেন।মোফাজ্জল বাহিনীর কারণে এলাকাবাসী আতঙ্ক রয়েছে।মোফাজ্জল বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা সহ অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে।তার ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে ভয় পায়।মোফাজ্জল বাহিনী থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী ও কাশেম চেয়ারম্যানের জোরালো দাবি,সরকার ও প্রশাসন যেন দ্রুত এর পদক্ষেপ নেন।মোফাজ্জল বাহিনী যেকোনো সময় তার বাহিনী নিয়ে আমাকে খুন করতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে।বর্তমান সময়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে আমি আমার স্থানীয় থানায় গেলে দেখি সোনারগাঁও থানার সকল কার্যক্রম বন্ধ।