মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলার ২৪নং মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মােশাররফ হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় বিচার না পেয়ে মঙ্গলবার (৪জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় ধূলিয়া ইউনিয়নের ২৪নং মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে সংবাদ সম্মলেন করেছেন ভূক্তভোগী ওই প্রধান শিক্ষক।
সংবাদ সম্মলনে প্রধান শিক্ষক তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ধূলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের গভার্নিং বডির সদস্য আমি। কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি শাহ্ আলম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, স্বাক্ষর জালিয়াতি, অদক্ষতা, নিয়ােগ বাণিজ্য ও কর্তব্য অবহেলাসহ নানা অনিয়মের অভিযােগ দাখিল করেন। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটি কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের বিরুেদ্ধ প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের আলােকে গত ২৪ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (কলেজ-৩) তপন কুমার দাস ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামকে কারণ দর্শানাের নােটিশ জারি করেন। অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল (শনিবার বার) বিকালে গভার্নিং বডির সভা ডাকা হয়েছিল। ওই সভায় আমি উপস্থিত হই। এতে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয় অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ও তাঁর ভাতিজা নাঈম সিকদার তারেক। সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আমি বাড়ী ফেরার পথে ধূলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে অধ্যক্ষের ভাতিজা বাউফল উপজলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাঈম সিকদার তারেক ক্ষােভের সূত্র ধরে প্রথম ভয়-ভীতি দেখায় ও গালমন্দ করে । পরে কিলঘুষি ও লাথি মেরে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে (গনমাধ্যম) আমাকে লাাঞ্চিতকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদা আক্তার, ধূলিয়া ইউপির মহিলা সদস্য মােসা. ফরিদা বেগম ও ২৪নং মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাে. সােলায়মান প্রমুখ।