বিপ্লব সাহা খুলনা
রেল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী অসংখ্য জনসাধারণের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও অসাধু রেল কর্মকর্তাদের সক্ষতায়
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব সম্পত্তির প্রায় চারের তৃতীয়াংশ জমি উভয় পক্ষের যোকসাজসে রেলের জায়গা দখলের অভিযোগ আজ নতুন ঘটনা নয়।
আর এ সকল ঘটনা দেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যমে বহুবার প্রকাশিত হয়েছে তবুও থেমে থাকেনি দখলের রাম রাজত্ব। শুধু জায়গায় দখলই নয় অনেক স্টেশন সংলগ্ন রেলের নিজস্ব দিঘি রেলের যন্ত্রপাতি আত্মসাৎসহ অসংখ্য রেলের জায়গা জবরদখল করে অবৈধ স্থাপনা এমনকি রেলের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অধিকাংশ কোয়ার্টার পর্যন্ত দখল করে রয়েছে বহিরাগতরা।
তবে সকল অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি আজ পর্যন্ত। অভিযোগ সূত্রে বেশ কিছু দৃশ্যপটে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে রেলের খালি জায়গায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে রেল কর্তৃপক্ষ জড়িত থেকে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি দোকানপাট এবং অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করে অবৈধভাবে মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করছে সাথে জনগণ এটাও উল্লেখ করেছে রেল বস্তিতে অসংখ্য মাদকের কারবারও হয়ে আসছে অহরহ এবং যত উটকো ঝামেলা, পাতি রংবাজ, কিশোর মাস্তান, কাচরা মাস্তান, অস্ত্রের ঝনঝনানি, নারি কেলেঙ্কারি সহ অবৈধ যত কার্যকলাপ সবকিছুই রেল কলোনির ভেতরেই হয়ে থাকে আর এই সব কিছুই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইশারায় সম্ভব হচ্ছে, এবং যতটুকুই ফাঁকা জমি নজরে পড়ছে তাতে গড়ে তুলেছে মার্কেট শপিং মল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য সংস্থা যার কারনে রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেলের অসংখ্য সম্পদ আর এতে করে আশে পাশে থাকা স্থানীয়রা ও নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তবে এ ব্যাপারে এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই সমস্ত অপকর্মের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে রেলের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী নেতা কর্মীগণ তবে এ ব্যাপারে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। সত্যতা প্রমাণে মাঠে নেমে জানাজায় অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসে রেল কর্তৃপক্ষের থলের বিড়াল ইজারা দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ নামে বেনামে রেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে অসৎ উপায়ে তৈরি করা হয়েছে জাল দলিলের নথি আর এ সকল জাল দলিল দ্বারা যে সকল গ্রাহকরা রেলের জমি লিজ নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন তৈরি করতে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। ফলে প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও মিলছে না তার সুষ্ঠু প্রতিকার, দখল বুঝে পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেও ফেরত পাচ্ছে না রেলের উর্বর্তন কর্মকর্তাদের নিকট জমা দেওয়া অর্থ।
অপর দিকে রেলের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কোয়ার্টারের চিত্র একই রকম এর আগে একজন রেলে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন আমি আজ ১১ বছর হলো রেলে চাকরি করে ও আমার নামে বরাদ্দকৃত কোয়াটার বুঝে পাচ্ছি না বিধায় আমাকে বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে তবে এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা একের পর এক তারিখ দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে গড়িমসি করে কালক্ষেপণ করলে অবশেষে আমি গত বছর বাংলাদেশ রেলের প্রধান কার্যালয় বরাবর দরখাস্ত প্রদান করলে সেখান থেকে আমায় সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিলেও যে ব্যক্তিরা আমার কোয়ার্টার দখল করে আছে তারা আমার নামে বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারটি ছাড়তে নারাজ।
তবে দখল কৃত ব্যক্তির ক্ষমতার দাপট খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় সে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রভাবে আমার কোয়াটার দখল করে আছে। পরে বিষয়টি সত্যতা প্রমাণ উদঘাটন করতে গিয়ে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি আমার ভাড়াটিয়াকে রেল থেকে কোয়াটার বুঝে নিয়ে ভাড়া দিয়েছি এ ব্যাপারে আপনাদের মাথা ঘামানোর কোন বিষয় নাই বলে তার মুঠোফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে রেল কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন বিষয়টি আমাদের গোচরে আছে কিন্তু এলাকা ভিত্তিক প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি রেলের অসৎ কিছু কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে এই কাজগুলো করেছে বিধায় সাময়িক জটিলতা দেখা দিলেও এর সমাধান অচিরেই হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।