মিজানুর রহমান ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে নগরকান্দায়
আদালতের ডিগ্রী পাওয়া সত্ত্বেও পৈতৃক সম্পত্তিতে দখলে যেতে পারছেনা দখলদারদের ভয়ে সন্তোষী গ্রামের মনির মাতুব্বর।দখলদার হলেন রহিম গং,আলাউদ্দিন গং সাং গজগা,,জলিল গং, জয়নাল গং সাং মানিক নগর।
সন্তোষী ১২৪ নং মৌজার আর এস ৯৮ এস এ ১০২ নং খতিয়ান বর্তমান বি,এস ৭১,১৯০ ৩১৯,২৬৪,৭০,১৭৯,৭১ খতিয়ানের হাল দাগ বি, এস ৪০২,৪০৩,৪০৪,৪০২,৬৩৭,৬৩৭,৬৩৫ নং দাগে মোট ৫৫ শতাংশ জমি পৈতৃক সূত্রে মালিক বর্তমান মনির মাতুব্বর, ফুলজান খাতুন পিতা – মৃত – লাল মাহমুদ মাতুব্বর গ্রাম – সন্তোষী থানা – নগরকান্দা, জেলাঃ- ফরিদপুর।জমির মালিক মনির মাতুব্বর ২০১৩ সালে ফরিদপুর ল্যান্ড সার্ভিসে দখলদারদের বিরুদ্ধে রেকর্ড সংশোধনীর জন্য মামলা করেন।প্রায় ১০ বছর পর মামলা চালিয়ে গত ২৮ মে ২০২৩ ইং তারিখে ল্যান্ড সার্ভিস থেকে ডিগ্রী প্রাপ্ত হয় মনির মাতুব্বর।
মনির মাতুব্বর বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে ফরিদপুর ল্যান্ড সার্ভিসে দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করি।মামলার চলমান থাকা অবস্থায় দখলদাররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের কাছে গিয়ে মামলার বিষয়ে জানালে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকায় ছয় দফা সালিশ বৈঠক হয়।চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতুব্বরগণ সালিশ রায় প্রদান করেন যে যে অবস্থানে রয়েছে সেই সেই অবস্থানে থাকার। যে মামলায় ডিগ্রী পাবে তাকে আমরা জায়গা বুঝিয়ে দিব।
তিনি আরও বলেন আমি এখন মামলায় রায় পেয়েছি কিন্তু তারা জায়গা ছাড়ছে না।
দখলদারদের কাছে জমির কাগজপত্র দেখাতে চাইলে জমির দখলদার রহিম গং,আলাল উদ্দিন গণ,জয়নাল গং,আয়নার গংরা বলেন আদালতে আমাদের কাগজপত্র রয়েছে। ডিগ্রি পেলেই কি আমরা জমি ছেড়ে দিব।জমি আমাদের দখলে আছে আমরাই থাকবো।
তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন মিয়া বলেন আমি ঐএলাকার মাতুব্বরদের নিয়ে একাধিকবার শালীস দরবার করি। দখলদাররা বলে মামলায় মনির মাতুব্বর পাইলে জমি তারা ছেড়ে দিবে।এখন মামলায় মনির মাতুব্বর ডিগ্রি পেয়েছে রায় পেয়েছে তারা কেন জমি ছাড়ছেনা বিষয়টি দেখব।