মিজানুর রহমান
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী গ্রামের মৃত শামসুল হক তারা মাতুব্বর এর ছেলে আইনপুর মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল
মোঃ আবুল হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে নগরকান্দা উপজেলাধীন চরযশোরদী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আনোয়ার মুন্সির মেয়ে শাহারা আক্তার ওরফে সপ্না ভূয়া কাবিননামা বানিয়ে আদালতে মামলা করেন।মামলা নং নগরকান্দা -সি আর – ৩২০/২৩। মোকদ্দমাঃ ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা।এরপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে ৭ ধারা মামলা করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান মিয়া বলেন, আমার প্রতিবেশী লস্কারদিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর সাথে অর্থ লেনদেন স্বরূপ আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।ইতিমধ্যে চেক জালিয়াতি মামলায় আদালত কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম কোন উপায়ান্ত না খুঁজে পেয়ে তার আপন মামাতো বোন সাহারা আক্তার ওরফে স্বপ্নাকে দিয়ে নিজেই ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে আদালতে মিথ্যা যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা মামলা করেন। এছাড়া গ্রাম আদালত তাদের চেয়ারম্যান এর কাছে লিখিত অভিযোগ করলে সেখানেও তারা কেউ উপস্থিত হয়নি।আইনের প্রতি সম্মান রেখে আদালতে হাজির হই এবং প্রতারক চিটিংবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আদালত মামলা করি।চেয়ারম্যান এর কাছে অভিযোগ করতে গেলে জানা যায় শাহারা ওরফে স্বপ্না আক্তার একাধিক বিয়ে করেছেন প্রতারণা করাই তার কাজ।বর্তমানে তৃতীয় স্বামী পারভেজ মোল্লা পিতা – আবুল কাশেম মোল্লা, গ্রামঃ- কাদির পাড়া থানা- মধুখালি সে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য ঢাকা পাসপোর্ট অফিসে ডিউটি করছেন।এর আগের স্বামীর ঘরে তার একটি মেয়ে আছে।
প্রতারক চিটিংবাজ চক্রের বিরুদ্ধে মোঃ আবুল হাসান
মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন ১।শাহারা আক্তার (৩৫) পিতা- আনোয়ার মুন্সি সাং গজারিয়া ২।কাজী মৌলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত (৪৩)পিতা- মৃত খলিলুর রহমান সাং জুঙ্গুরদী ১ নং আসামীর সম্পর্কে আপন ফুপাতো ভাই ৩।আনোয়ার মুন্সি(৬০) ৩।খাদিজা বেগম (৬০) ১ নং আসামীর সম্পর্কে পিতা ও মাতা ৫। রুপালী আক্তার (৩০)পিতা – আনোয়ার মুন্সি ১ নং আসামীর সম্পর্কে বোন ৬।ওমর আলী মোল্লা(৩৫) পিতা- মোঃ আয়নাল মোল্লা সাং লস্কারদিয়া ২ নং আসামির সম্পর্কে বন্ধু ৭।বোরহান (৩০) পিতাঃ- বাকা মেম্বার গ্রাম দহিসারা থানা নগরকান্দা ১ নং আসামীর মেয়ে জামাই ৮। তুহিন মুন্সি ওরফে রাজ্জাক পিতাঃ- বাদশা মিয়া সাং ফুলবাড়িয়ার হাট থানা – সালথা সে সম্পর্কে ২ নং আসামীর বন্ধু হয়।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত সিআইডির উপরে তদন্তের নির্দেশ দেন।
সাহারা আক্তার ওরফে সপ্নার স্বামী পারভেজ মোল্লা বলেন আমার স্ত্রী সন্তান আছে এমনও তো অবস্থায় সাহারা আক্তার আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করতে বাধ্য করে।সে এর আগে অনেক পুরুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়েও করেন।কখনো সাহারা কখনো স্বপ্না কখনো মিতু নামে পরিচয় দিয়ে থাকেন।এই চক্রের সাথে সাহারার ফুফাতো ভাই কাজী মনিরুল ইসলাম হিমায়েত জড়িত রয়েছে। কয়েক মাস আগে আমাকে তালাক দিয়ে পুনরায় আমার নামে বর্তমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম ফরিদপুর বাসা ভাড়া করে আদালত চত্বরে সময় পার করে সেখানে নোটারী পাবলিক কৃত (বাল্যবিয়ে) পড়িয়ে থাকেন এবং তার নিকাহ রেজিস্টার বই (নকল কপি) দিয়ে টাকার বিনিময়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার বিক্রি করায় সেই লোক বিবাহ পড়িয়ে থাকেন বলে ভুক্তভোগীরা অনেকেই বলেন। কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম এর ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
মামলায় অভিযুক্ত সাহারা আক্তার ওরফে স্বপ্না বাড়িতে না থাকায় ও ফোন নাম্বার রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার পরিবারের লোকজন এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয়।