জিয়াউল হক,উপজেলা সংবাদদাতা,দূর্গাপুর,নেএকোনা।
নেত্রকোণায় বগি রেখেই স্টেশনে চলে গেল ট্রেনের ইঞ্জিন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোণার মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনের ইঞ্জিনের পেছনে বগির সংযোগস্থলের স্প্রিং ভেঙে বগির সাথে ইঞ্জিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে পেছনে থাকা ১৩টি বগি রেখেই ট্রেন নেত্রকোণা সাতপাই রেল স্টেশনে পৌঁছায়।
শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ রেললাইনের নেত্রকোণার চল্লিশা এলাকায় মগড়া নদীর ব্রিজের উপর লোকোমোটিভের সাথে বগির সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটে।
এই ট্রেনের ইন্দ্র নামে এক যাত্রী জানান, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে বিপত্তি। চল্লিশা ব্রীজের উপর বগিগুলো থেমে যায়। ট্রেন থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে লোকোমোটিভ চলে গেছে। ফলে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ট্রেনে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী রয়েছে। সকল যাত্রীর মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও ভোগান্তি দেখা দেয়।
ট্রেনের একাধিক যাত্রী জানান,ট্রেনটি শ্যামগঞ্জ স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর নেত্রকোণা ও শ্যামগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় হঠাৎ থেমে যায়। প্রথমে যাত্রীরা ভেবেছিলেন কোন স্টেশনে পৌঁছেছে ট্রেনটি। কিন্তু জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তারা দেখেন এটি জনমানবশূন্য ফাঁকা এলাকা। এরপর যাত্রীদের চোখে পড়ে অবিশ্বাস্য এক দৃশ্য,ট্রেনের ইঞ্জিন নেই। শুধু ১৩টি বগি দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্ন রেল ব্রীজের লাইনের ওপর।
সাতপাই রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্প্রিং ভেঙে চল্লিশা ব্রীজের উপর মোহনগঞ্জ আন্তঃনগর ট্রেনের বগি রেখে লোকোমোটিভটি স্টেশনে চলে আসে। পরে ঘটনা টের পেয়ে স্টেশনের এক স্টাফসহ লোকোমোটিভটি ঘটনাস্থলে আবার ফেরত যায়। ফেলে আসা ট্রেনের বগিতেও মেরামতের লোক রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থায় ট্রেনের বগিগুলো ব্রীজের উপর থেকে স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। পরে ময়মনসিংহ থেকে একটি রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়।