মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি –
গত ১ মে বগুড়া সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সন্ধ্যা একই গ্রামে তার চাচার বাড়িতে যায়। পথিমধ্যে ধৃত আসামী মুন্না (১৯)’র বাড়ির সামনে ভিকটিম পৌঁছলে ধৃত আসামী ভিকটিমকে রান্না দেখানোর ছলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। আসামীর বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় ভিকটিম সেখান হতে চলে আসার চেষ্টা করে।
কিন্তু আসামী তাকে যেতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে আসামী ভিকটিমকে সুকৌশলে তার বসতবাড়ীর শয়ন ঘরে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সুরাহা না হওয়ায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গত ১৩ মে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর থেকেই র্যাব আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে ২১ মে র্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়ার নেতৃতে একটি আভিযানিক দল শেরপুর উপজেলার ছবি শেরপুর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক মোঃ মুন্না (১৯), পিতা- মোঃ আব্দুল মমিন, সাং- রাজাপুর, থানা ও জেলা- বগুড়া’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
ধৃত আসামী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়ে পাসপোর্ট, মেডিকেল সম্পন্ন করে গোপনে বগুড়া ফেরত আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।