মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি-
নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের কবলে বগুড়া। ভাদ্রের চরম গরম এবং লোডশেডিং এ মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা। কি দিন কী রাত, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই বগুড়ার গ্রাহক। নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ সরবরাহ না মেলায় ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও।
শুধু তাই নয়, প্রাথমিক মাধ্যমিক ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর কারণে পড়াশোনা ঠিকমতো হচ্ছে না।
বিদ্যুৎ এক ঘন্টার জন্য আসলেও যদি একবার চলে যায় তাহলে দুই আড়াই ঘন্টা নিচে বিদ্যুৎ আসতেছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে দুই হাজার ৬শ’ থেকে দুই হাজার ৭শ’ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে এই অঞ্চলে সরবরাহ মিলছে মাত্র এক হাজার ৭শ’ থেকে এক হাজার ৮শ’ মেগাওয়াট। ৯শ’ থেকে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে।
এদিকে, নেসকো বগুড়া সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকসেবার সুবিধার্থে বগুড়া শহরকে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১, ২, ৩ ও ৪ অঞ্চলে ভাগ করে সেবা দেওয়া হচ্ছে। বগুড়া শহর ছাড়াও দুপচাঁচিয়া, শেরপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে নেসকো। এই চার অঞ্চলে গড়ে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ১০৫ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ মিলছে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ।ৎবিদ্যুতের লোডশেডিং কমছে না, বরং বেড়েই চলেছে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ আছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের সবগুলো ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
নেসকো বগুড়ার একটি সূত্র বলছে, তারা জানতে পেরেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের অয়েল পাম্প (টারবাইন জেনারেল) নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। মাত্র চার দিন আগে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছিল।
ইউনিটটি দীর্ঘ ৩৬ দিন পর গত ৬ সেপ্টেম্বর যান্ত্রিক সমস্যা সমাধান করে উৎপাদন শুরু করেছিল। বেসরকারিভাবে বগুড়া, রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন চালু থাকলে লোডশেডিং হতো না। এই ইউনিট চালু হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
এদিকে নেসকো বগুড়ার সূত্র জানায়, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোতে গ্যাসের চাপ কম রয়েছে গ্যাসের চাপ কম থাকাটাও বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা।