স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় যে পবিত্র ভূমিতে সায়িত আছেন বিশ্ব বিখ্যাত অলীয়ে কামেল হযরত শাহ সুলতান বলখী (রহঃ)। সেই “শাহ সুলতান” এর নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে আবাসিক হোটেলের অন্তরালে চলছে প্রকাশ্যে রমরমা দেহ ব্যবসা।
কয়েকদিন আগেও ধরপাগল করে সিলগালা করার পরও পুনরায় আবার চালু হয়েছে। মহাস্থান ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন ৩ তলা আবাসিক বোর্ডিং। সেই বোর্ডিং ভাড়া নিয়ে উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের সেকেন্দ্রাবাদ গ্রামের চাঁন মিঞা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে করে আসছে অনৈতিক দেহ ব্যবসা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোম্বর) সরেজমিনে গিয়ে হোটেলে ঢুকতেই দেখা যায়, উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের আনাগোনা। ভিতরে তালাশ করতে গিয়ে দেখা যায়, দেহ ব্যবসা কাজে লিপ্ত থাকা ২ জন নারী। ১ জন ক্যামেরা দেখে পালিয়ে রুমে ঢুকলেও আরেকজন সড়তে পারেনি। একটি স্পেশাল কামরা যেখানে টিভি সোফা, খাট রয়েছে। ওই কামরা থেকে ইচ্ছে মতো রমনীদের দেখে-শুনে কথা বলে পছন্দ হলে দরকষাকষি করা হয়। বাস্তবে এমন চিত্র দেখা যায় মহাস্থান শাহ সুলতান বোর্ডিংয়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, মহাস্থান একটি ঐতিহাসিক মাজার এলাকা। সেই পীর ওলী-আউলিয়ার নামে এমন অবৈধ দেহ ব্যবসা সত্যি দুঃখজনক। দীর্ঘদিন হলো এটি চললেও এনিয়ে কেউ কথা বলে না। প্রশাসনও রহস্যময় ভাবে নিশ্চুপ কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। বিভিন্ন সময়ে পরিবেশ- পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ দেহ ব্যবসা করে আসছে চাঁন মিঞা। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, মহাস্থানের মত এমন একটি জায়গায় মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করে তাও আবার শাহ সুলতানের নামে দেহ ব্যবসা ছিঃ ছিঃ বলতে বলতে তিনি মাথা নিচু করে চলে যান৷
এ বিষয়ে হোটেলের পরিচালক চাঁন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখে তাদের সঙ্গে অকথ্য আচার-আচরণ করেন। একপর্যায়ে বলেই ফেলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলি। আপনাদের কি করার করেন।
জানতে চাইলাম আগেও দেহ ব্যবসা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে ছিলেন ? জানতে চাইলে, এ যেন তার কাছে ডাল-ভাত। আইনের কোন বালাই যেন তাকে ছুঁতে পারে না।
এদিকে, স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী মাজারের পবিত্রতা রক্ষার্থে দ্রুত শাহ সুলতানের নামে এই দেহ ব্যবসার আঁকড়া বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন।