মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
বগুড়ার বিনোদন পার্কগুলো যেনো নোংরামির নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। যেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে সাধারণ মানুষ সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে বিভিন্ন পার্ক গুলোতে যখন বিনোদন নিতে যায়। সেই সময় গুলোতেই দেখা যায় প্রেমিক প্রেমিকাদের অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গি। শুধু অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দিয়েই শেষ নয় শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত তারা, কেউবা দাঁড়িয়ে কেউবা বসে শারীরিক সম্পর্কের বেহায়াপনায় লিপ্ত। যেমনটি রাস্তাঘাটে কুকুর কিংবা অন্যান্য প্রাণীরা শারীরিক সম্পর্ক করে থাকেন । এই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। এছাড়াও চোখে পড়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের।
বগুড়ার পার্ক গুলোর তালিকায় রয়েছে বগুড়ার সুনামধন্য মমইন ইকো পার্ক, বগুড়া গ্রীন রিসোর্ট, ওয়ান্ডারলেন্ড, পৌর পার্কসহ আরও একাধিক পার্ক। বেশির ভাগ পার্কগুলোতেই চোখে পড়ে স্কুল, কলেজ ছাত্র-ছাত্রীসহ নানা বয়সের ছেলে এবং মেয়ের শারীরিক সম্পর্কের চিত্র।
এই পার্ক গুলোতে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ। পার্কের বাগানে সিঙ্গেল কাউকে দেখলেই বাধা দেয় সেখানে দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ড। হাতে যদি মোবাইল ফোন অথবা ক্যামেরা থাকে সেটিও নেন কেড়ে। শুধু তাই নয়, সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত স্কুল কলেজের ড্রেস পড়া ছাত্রছাত্রীদের সব সময় পার্কের মধ্যে ঘোরাফেরা সহ অনেক কিছু করতেও দেখা যায়।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, আমরা দ্রুতই পার্ক গুলোর মালিকদের ডেকে কথা বলবো যাতে পার্কের ভেতরে এরকম অনৈতিক কোন কার্যকলাপ না চলে। সেই সাথে স্কুল ড্রেস পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের নজরদারিতে রাখতে হবে যেন তারা স্কুল চলাকালীন সময়ে পার্কে না যেতে পারে।
আমরা পার্ক গুলোকে কঠোর নজরদারিতে রাখবো যাতে কোনো রকম অসামাজিক কার্যকলাপ না হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলছেন, ইতিমধ্যেই পার্ক কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করাসহ পার্ক গুলোর পাশাপাশি স্কুল কলেজের শিক্ষদেরকেও নোটিশ করেছেন।
অনৈতিক কর্মকান্ড রুখতে জেলার পার্কগুলোতে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মানুষ।