আব্দুল গাফফার শেরপুর( বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে এবার ৮৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এরইমধ্যে বেশিরভাগ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ও জাক জমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বর্ধিতসভা করা হয়েছে।উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে পৌরশহরের শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রাঙণে ওই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক নিমাই ঘোষ।উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম কুণ্ডুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দবিবুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু,
জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মোস্তাফিজ নাসিম, শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম, পৌরসভার কাউন্সিলর সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যাম, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা রামকৃষ্ণ মোহন্ত, অজয় সরকার শুভ, শুভ কুণ্ডু ও শুভ অধিকারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় উপজেলা বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধিরা আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাসহ পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ বলেন, এবার এই উপজেলায় পৌরসভাসহ দশটি ইউনিয়নে মোট ৮৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এরমধ্যে পৌর এলাকায় রয়েছে ৩১টি মন্ডপ। সে মোতাবেক সব ধরণের প্রস্তুতি নিতেই এই বর্ধিতসভা ডাকা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালনের জন্য প্রশাসনসহ সব রাজনৈতিক সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এই পূজা উদযাপন পরিষদের এই নেতা। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এই উৎসব সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে যেন তারা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।