আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়িতে হামলা, লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় একই পরিবারের অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তোভোগী ইব্রাহিম শেরপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। হামলার পর আতঙ্কে রয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও আইনি সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্ত্রী মুঞ্জুয়ারা পারভীন ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাজীপুর মৌজার মোছাঃ জহিরুন নেছা বিবির নিকট থেকে ৩ শতক জমি ক্রয় করেন। জমির দলিল নং ৪১৬৯, মৌজা: হাজীপুর, জেএল নং ১২২, দাগ নং ২০৫/৩৫২। এরপর থেকে পরিবারটি সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিল। কিছুদিন হল প্রতিবেশী রোজিনা খাতুন ও আকতারুজ্জামান পল্টু প্রিয়মশন মামলা দায়ের করেন। কিন্তু শুনানি শেষে মামলাটি খারিজ হয়। পরে আদালত স্থিতাবস্থা নির্দেশ দেন এবং বিচারাধীন রয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে রোজিনা খাতুন ও আকতারুজ্জামান পল্টুর নেতৃত্বে ১০-১১ জনের একটি সশস্ত্র দল তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। লাঠি, রড ও চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে ইব্রাহীমের দুই বোন ছালেহা বেগম ও আছিয়া বেগম, ভাগ্নি মমতাজ বেগম ওরফে শাপলা এবং ছেলে ইসমাইল হোসেনকে গুরুতর আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ আরো বলেন, “মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আদালতের স্থিতাবস্থা নির্দেশ অমান্য করে এ ধরনের হামলা ও লুটপাট সম্পূর্ণ বেআইনি। পরিবারসহ আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। অবিলম্বে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চাই।”
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন উভয় পক্ষ শান্ত রয়েছে।