আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে জামায়াত নেতার ইটভাটায় হামলা চালিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। সেইসঙ্গে ভাটার ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মচারীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া ওই ভাটার বিপণন কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকাও লুটে নিয়ে যান তারা। এই ঘটনায় শনিবার (২১জুন) সকালে ভুক্তভোগী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির রেজাউল করিম বাবলু বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের গাঁড়ই গ্রামস্থ ‘আর.কে.বি’ নামে একটি ইটভাটা গড়ে তোলেন জামায়াত নেতা রেজাউল করিম বাবলু। এটি প্রায় এক যুগ ধরে পরিচালনা করে আসছেন তিনি। এতে কারো কোনো সমস্যা বা অভিযোগ নেই। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি নানাভাবে সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এমনকি ইট-ভাটার ব্যবসা পরিচালনায় নানামুখি বাধার সৃষ্টি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার (১৯জুন) দুপুরে ইট-ভাটার কর্মচারীদের মারপিটসহ ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
ভুক্তভোগী ওই জামায়াত নেতা বলেন, তাঁর ইটভাটার সামনে দিয়ে একটি গ্রামীণ সড়ক রয়েছে। বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি কাঁদাযুক্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েন। তাই জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটিতে ইট বিছিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল রানা কোনো কারণ ছাড়াই ইট বিছানোর কাজে বাধা দেন। এমনকি ভাটা মালিকসহ কর্মচারীদের অকথ্য-ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকেন। এসময় ভাটার ব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, তাঁর ছেলে কাওছার আলী ও ভাটার সহকারী ব্যবস্থাপক আশরাফ আলী প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল রানার নেতৃত্বে আট থেকে নয়জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সর্জ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলে পড়েন। সেইসঙ্গে বেধড়ক পিটিয়ে তাদের রক্তাক্ত করেন তারা। একপর্যায়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভাটার মালিক জামায়াত নেতা রেজাউল করিম বাবলু অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় ইটভাটার বিপণন কেন্দ্রে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ চার লাখ টাকাও লুটে নিয়ে যান বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোহেল রানার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।