আব্দুল গাফফার
শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে মাদ্রাসার টয়লেট থেকে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. কাউছার আহমেদ (৮)। বুধবার (০২আগস্ট) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা বাজার এলাকায় অবস্থিত তাহ্সীনুল কোরআন আর্দশ হাফেজিয়া মাদ্রাসার টয়লেট থেকে ওই ক্ষুদে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কাউছার আহমেদ উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আয়রা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা জানান, বিগত ছয়মাস আগে মাদ্রাসাটির মক্তব্য বিভাগে ভর্তি হন কাউছার আহমেদ। এরপর থেকে মাদ্রাসার আবাসিক বোর্ডিংয়ে থেকেই নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার ফজর নামাজ শেষে ক্লাশ শুরু হয়। সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিট থেকে সাতটা পর্যন্ত নাস্তার বিরতি দেওয়া হয়। পরে আবার ক্লাশ শুরু হলে ফজলুল করিম সিয়াম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যায়। এসময় মক্তব্য বিভাগের ছাত্র কাউছার আহমেদকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এমনকি তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাৎক্ষণিক বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবহিত করেন বলে জানান তারা।
মাদ্রাসার শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই টয়লেট থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউছার আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিষয়টি মাদ্রাসার মুহতামিমকে (প্রধান শিক্ষক) জানানো হলে তিনি থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরবাইরে আর কোনো কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন ওই শিক্ষক।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, নিহত শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর আসল কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। তবে দড়ি দিয়ে খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।