আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে মহাসড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ এগারো দফা দাবিতে মানববন্ধন ও গণজমায়েত করণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮এপ্রিল) বেলা দশটায় শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে শেরপুর উপজেলা স্বার্থ রক্ষা পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নানা শ্রেণীপেশার হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ। কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই বারী, শিক্ষক শাজাহান আলী, জাহাঙ্গীর আলম, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শেরপুরকে জেলা ঘোষণা, শেরপুর শহরে গ্যাস সংযোগ, উপজেলায় একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ, রেল স্টেশন স্থাপন, পৌরসভার সীমানা বৃদ্ধি, করতোয়া নদী খনন, নদীর দু’পাশে সড়ক নির্মাণ, শিশু পার্ক তৈরি, ঝাঁজর, ফুলজোড় ও কল্যাণী এলাকায় বাঙালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ ও শেরপুর পৌর কিচেন মার্কেট চালু করা। এসব দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড-পোস্টার, ব্যানার নিয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পূর্বপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপি এই কর্মসূচি পালন করেন হাজারো মানুষ। এসময় বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এসব দাবি করে আসছি। কিন্তু বরাবরেই আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবায়িত হয়নি। বিগত ২০২২সাল থেকে অদ্যবধি একাধিকবার তারা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ও মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু কোনো দাবিই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে মহাসড়কের মাঝখানে সড়ক বিভাজক থাকায় শহরটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত যাতায়াতে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অনেক শিশু শিক্ষার্থী অনিয়মিত হয়ে পড়ছে।
শেরপুর বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিরু বলেন, শহরের মধ্যে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে। গত ছয় মাসে শহরের বিভিন্ন অংশে শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যাতে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, করতোয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে ফুটওভার ব্রীজ থাকলেও তা ব্যবহারে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সমস্যা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তারা সড়ক বিভাজকের ফাঁক দিয়ে পারাপার হন এবং দুর্ঘটনার শিকার হন। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় কে এম মাহবুবার রহমান হারেজ বলেন, শেরপুরবাসীর প্রাণের দাবি এই এগারো দফা। তাই দ্রুত এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় দাবি আদায়ে শেরপুরবাসী বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হবে। শেরপুর উপজেলা স্বার্থরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপজেলার অন্তত ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।