আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি নেতার বালু মহালের চুক্তিপত্র বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। সোমবার (১৯মে) বিকেলে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চকধলি গ্রামের মধ্যদিয়ে বহমান বাঙালী নদীর চকধলি বালু মহাল এলাকায় ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী কৃষক নুরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, সোলায়মান আলীসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, সরকারের নদী খনন প্রকল্পের আওতায় বাঙালী নদীর চকধলি অংশে নদী খননের বালু রাখার জন্য জমি (ডাইক স্থাপন) প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়। এক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী জমি ভাড়া নিতে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আলী সরকার ও বাকিউর রহমান বাবুর সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েষ্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা ২৪ব্রিগেড ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন। কিন্তু যাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বাকিউর রহমানের কোনো জায়গা-জমি নেই। এমনকি চকধলি গ্রামের কোনো বাসিন্দাও নয়। তবে ফিরোজ আলী সরকারের দুই থেকে আড়াই বিঘা জমি রয়েছে। এছাড়া তাদের আর কোনো জমি নেই। অথচ চুক্তিপত্রে বারো বিঘা জমি দেখিয়েছেন তারা। এটি সম্পুর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, জমির প্রকৃত মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। বরং তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ফলে এই এলাকার কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই ওই বিএনপি নেতার বালু মহালের জালিয়াতির চুক্তিপত্র বাতিল করার জন্য মানববন্ধনে জোর দাবি জানানো হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আলী সরকারের সঙ্গে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে ওয়েষ্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাজাহান চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, এই ডাইক স্থাপনে কমপক্ষে বিশ থেকে পঁচিশ বিঘা জমি লাগবে। এটি প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকেই ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সেটি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ওই বিএনপি নেতার চুক্তিপত্র বাতিল করা হবে বলেও দাবি করেন তিনি।