আব্দুল গাফফার শেরপুর( বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজে হামলাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (২১অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে কলেজটির শিক্ষক-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপি চলা ওই কর্মসূচিতে উপাধ্যক্ষ রহুল আমিন, সহকারি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ইদ্রিস আলী সরকার, আশরাফুন্নেসা, কর্মচারী জামাল উদ্দিন, আব্দুর রশিদ ও আবু হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ০৭অক্টোবর ফ্যাসিবাদের দোসর ৪০-৫০জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে কলেজের মধ্যে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সেইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কৃষি প্রদর্শককে উদ্দেশ্যে করে অকথ্যভাষায় গালাগাল করেন। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও অদ্যবধি ওইসব সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার হননি। এছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে এই উপজেলায় পেশাজীবিদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কলেজের কৃষি প্রদর্শক মাহবুবার রহমান। এ কারণে ফ্যাসিস্টদের দোসররা তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ভুয়া অভিযোগ তুলে নানা কর্মসূচি পালনের নামে কলেজে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করেছে। পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমসহ নিয়ম-কানুনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। তাই এই চক্রটিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানে শুধু ছাত্রীরা লেখপড়া করেন। অথচ আন্দোলনের নামে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করলো। যা রহস্যময় একটি ঘটনা। এছাড়া কৃষি প্রদর্শক মাহবুবের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে এজন্য তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কিন্তু এই কমিটিকে প্রভাবিত করার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন ফ্যাসিস্টদের দোসররা। তার অপরাধ তিনি জিয়া পরিষদের সভাপতি। বিগত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর মিষ্টি বিতরণ করেছেন।বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ বলেন, অভিযোগ ওঠার পরই কৃষি প্রদর্শক মাহবুবকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। অচিরেই ওই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। এমন পরিস্থিতিতে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা কলেজে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। সেইসঙ্গে তদন্ত কমিটিকে নানাভাবে চাপ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।