আব্দুল গাফফার শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের রামচন্দ্রপুর পাড়ায় মাহমুদা খাতুন (৩৫) নামে এক শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে নিজ বাসার বারান্দার গ্রিলে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি জীবনের ইতি টানেন। জানা গেছে, মাহমুদা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে জটিল লিভার রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় আশানুরূপ ফল না মেলায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই হতাশা থেকেই তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নেন। মাহমুদার বাড়ি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ইছলবাড়ীয়া গ্রামে। তিনি শেরপুরে স্বামী মাদ্রাসাশিক্ষক সোহেল রানার সঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফজরের নামাজের সময় ঘুম ভেঙে সোহেল রানা দেখেন, মাহমুদা পাশে নেই। বারান্দায় গিয়ে দেখেন, স্ত্রী গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মৃতদেহ নামিয়ে আনেন। খবর পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন পরিদর্শনে যান এবং এসআই আমিরুল ইসলাম সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা আর মানসিক যন্ত্রণা মাহমুদাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। তার এই অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শেরপুর থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’