মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি-
সংগঠনের দশ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে বগুড়া আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান (খলিল) সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বগুড়া সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মৃত জিল্লুর রহমান শেখের ছেলে ও বগুড়া আন্ত জেলা ট্রাক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোঃ মানিক শেখ।
রোববার বাদি বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সুকান্ত সাহা বাদির জবানবন্দী গ্রহন করে মামলার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পিবিআই’র প্রতি ওই আদেশ দেন।
এদিকে, মামলায় অপর আসামিরা হলো, বগুড়ার ভবের বাজার চারমাথার আন্তঃ জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন, সদস্য সচিব মোঃ সোহাগ, মোঃ ওসমান আলী, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বগুড়া জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাজাহান খান, সাবেক সেতু মন্ত্রী মোঃ ওবায়দুল কাদের, মোঃ আখতারুজ্জামান, আন্ত জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোঃ তৌফিক হাসান (ময়না), ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ জহুরুল ইসলাম মন্ডল, আওয়ামীলীগ নেতা এস এম আব্দুল বাকী, সহিদ হোসেন, হাফিজার রহমান, ইকবাল হোসেন (শামী) মোঃ মোজাম্মেল, মোঃ জাহেদুল ইসলাম (জাহিদ), শাহীন, জাহিদুল ইসলাম, পিন্টু মিয়া, হযরত আলী, ইসমাইল।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে বাদি উল্লেখ করেন যে, আন্তঃ জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে পরিবহন খাত হতে সদস্যদের মাসিক চাঁদা, টার্মিনাল ফি, শ্রমিক কল্যাণ বাবদ ফি আদায় এবং ট্রাকের চালান ফি বাবদ প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে। গত ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ ১৩/১৪ বছর কোন নির্বাচন না করে বা সাধারণ সভার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যায়ের হিসাব সদস্যদের সম্মুখে প্রকাশ না করে সংগঠনের আয়কৃত অনুমানিক ১০ কোটি টাকা আত্মসাাৎ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর গত ২৭ এপ্রিল সধারণ সভায় গত ১৩/১৪ বছরের আয়-ব্যায়ের হিসাব উপস্থাপন করা হলে সাধারণ সদস্যরা হতভম্ব হয়ে যান।
আসামিরা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা ভয়ভীতি দেখিয়ে সংগঠনের আনুমানিক ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।