আব্দুল গাফ্ফার
শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে পৃথক ঘটনায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের আন্দিকুমড়া ও খামারকান্দি ইউনিয়নের মনুপাড়া গ্রাম থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (কলেজ) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন- উপজেলা শেরুয়া দহপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫) ও খামারকান্দির মনুপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৬)। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের আন্দিকুমড়া গ্রামের শামছুল হকের চাতালে বুধবার রাতে চাতাল শ্রমিক আব্দুল মান্নানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানায় সংবাদ দেওয়া হলে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। কিন্তু মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাতে পারেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বিগত ২১অক্টোবর সকালে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় শ্রমিক আব্দুল মান্নানের। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় মিললো তার লাশ। সম্ভবত রাগ-ক্ষোভে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আব্দুল মান্নান আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে সূত্রটি জানায়। এদিকে খামারকান্দি মনুপাড়া গ্রামস্থ নিজ বসতবাড়িতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকসা চার্জ দিতে গিয়ে হাবিবুর রহমান বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু হাসপাতালে আসার পথেই মারা যান তিনি। নিহতের বাবা দেলোয়ার জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকসাটি বুধবার সারাদিন ভাড়ায় চালায়। এরপর ওইদিন রাত দশটার দিকে বাড়ি এসে বারান্দার ওপর ব্যাটারিচালিত অটোরিকসাটি চার্জ দিতে যায়। এসময় হঠাৎ বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুর রহমানকে মৃত ঘোষনা করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা আরো বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।