স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া-
কোনভাবেই যেনো থামানো যাচ্ছে না সুবহান হাজিকে। প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে দিনের পর দিন অবৈধভাবে জমি দখল, গাছ কাটা, মসজিদ ভাঙ্গা সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করেও প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুলতলা নিবাসী সোবাহান হাজী। শুধু তাই নয় এই সুবহানাল্লাহীর সঙ্গে আরও যোগ হয়েছে তার ৩ ছেলে সন্তান সহ রুবেল, সোহেল, সুজন।
এলাকার কিছু পাতি নেতা দালাল দের সহযোগিতায় চলছে এদের অবৈধ বানিজ্য। একজন অসহায় মহিলার সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এক টুকরো জায়গা কিনে ছিলেন। জমির দলিল,রেকর্ড, খাজনা, খারিজ, পিনপরচা, মাঠপর্চা সব কিছু থাকার পরেও জায়গা বুঝে পাচ্ছে না। এই ভূমি দস্যুদের কাছ থেকে। বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েই চলেছে।
গত ৩০ শে জুন সোবহান হাজী সহ তার ছেলেরা ও স্থানীয় আমিন খোকন জোর পূর্বক জায়গার ওপর বাউন্ডারি দেয়ার প্রস্তুতি নিলে তাতে বাধা দিতে গেলে বাদীকে হুমকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় বাদী বাধ্য হয়ে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর থানার হস্তক্ষেপে তাদের বাউন্ডারি দেয়ার কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অদৃশ্য শক্তির জোরে তবুও তারা থেমে নেই। তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ১ জুলাই আবারো বাদীর ওপর হামলা করে সোবহান হাজী সহ তার ছেলেরা। থানায় জানানোর পরও রাতারাতি বাউন্ডারি দেয়ার হুমকি দিতেই থাকে তারা। শেষ ৩ জুলাই বাদীনি বাসায় না থাকায় আবারো বাউন্ডারি দেয়ার জন্য ইট বিছিয়ে কাজ শুরু করতে গেলে বাদীনির দুই মেয়ে ও ছেলের বউ বাধা দিতে যায় তখন সোবহান হাজী ও তার ছেলেরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ লাঠি শোটা সহ মারধর করতে থাকে। এমন অবস্থায় বাদীনীর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ভূমিদস্য সোবহানের লোকজন প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিতে থাকে এবং দ্রুত ঘটনার স্থান ত্যাগ করে।
কোটে মামলা চলমান। তবুও নীরহ গরিব মহিলার ওপর সোবাহানের এই নিষ্ঠুর আচরণ এবং জমি দখল করার চেষ্টা এটা কোন গায়েবী শক্তিতে হচ্ছে সেটিই এখন দেখার বিষয়।