মোঃ আশরাফুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেত্রী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক দল বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবার হত্যা করে।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও এই দিনে তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব; তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল; পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে হত্যা করা হয়।
আর অপরদিকে জাতীয়তাবাদী শক্তির অবিসংবাদিত এই নেত্রী ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি আজ পা রাখলেন ৮০ বছরে। তার মা চন্দনবাড়ির মেয়ে তৈয়বা মজুমদার আর পিতা ফেনীর ফুলগাজির ইস্কান্দার মজুমদার। দিনাজপুরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ার সময় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। জিয়া-খালেদা দম্পতির দুই সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পিনু আর মরহুম আরাফাত রহমান কোকো।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১৫ই আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতো। এদিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।তবে ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আর এবারের খালেদা জিয়ার জন্মদিন এমন এক সময় উদযাপিত হচ্ছে যখন বিগত পতিত সরকারের রাজনৈতিক জিঘাংসায় পড়ে সাড়ে ছয় বছর ধরে অন্যায় বিচারে বিনাচিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বন্দী জীবন থেকে নয় দিন আগে মুক্তি পেয়েছেন বেগম জিয়া। তাই তার এই জন্মদিনে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা আনন্দে আপ্লুত।
প্রসঙ্গত, গত দেড় দশক বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়েও মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনের কারণে বেগম জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীরা বহু মামলা হামলার শিকার হয়েছেন।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনা এবং দেশব্যাপী চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত ও যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ কামনায় আগামীকাল ১৬ই আগস্ট শুক্রবার দেশব্যাপী বিভাগীয়, মহানগর,জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।