মোঃআমিরুল ইসলাম জেলা পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
নতুন বছরের প্রথম দিনে ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল হাওয়ায় শীত জেকে বসেছে পঞ্চগড়ে। আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের আজকের এই দিনে (১ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছরের শুরুতে তাপমাত্রা রেকর্ড হলো ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিদায়ী বছরে ডিসেম্বরে এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৩ দিন। তার মধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৬ দিন। ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ৬ দিন, ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ৬ দিন, ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ৪ দিন, ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ২ দিনসহ তার উপরেই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই হিম বাতাসে বইছে শীতের ঝাঞ্জা। রাত ৯টার মধ্যে প্রায় কোলাহাল থেমে যায় শহর ও গ্রামের হাটবাজারগুলো। রাত বাড়তে থাকলে কুয়াশার সাথে শিশির বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। ভোর থেকেই কুয়াশার আবরণে দেশের এ প্রান্তিক জেলা। কুয়াশা ঝরা ঠান্ডা বাতাসের কারণে নেমে এসেছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষগুলো কাজে বের হলেও শহরের অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দুপুর পর্যন্ত ঢাকা থাকছে সূর্যের মুখ। সূর্যের মুখ দেখা গেলেও সে রোদে মেলেনি উষ্ণতা।
আজগড় আলী জানান, কয়েকদিন ঝকঝকে রোদের পর আবার কুয়াশা দেখা দিল এ অঞ্চলে। কুয়াশার কারণে ভ্যানে চরতে চান না অনেকেই। তারা অটোরিকশায় যান। এ কারণে কামাই কম হয় কুয়াশা থাকলে।
শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, ক্রনিক শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন চিকিৎসকরা।