মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়দা জজ(বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২)আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ আদেশ প্রদান করেন।এর পূর্বে উক্ত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করে,তিনি জামিনের আবেদন করেন।আদালতে আত্মসমর্পনের শেষ দিন ছিলো ১৯ শে জুন।তবে ঐ বিগত তারিখে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর মৃত্যুর কারনে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সকল কার্যক্রম বন্ধ হওয়াতে নির্ধারিত তারিখে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন-কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ।জানা যায়-মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ২য় স্ত্রী সুলতানা বেগম ২৪শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে তাকে আসামী করে ১টি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে ২৪শে এপ্রিল বন্দর থানায় যৌতুকের জন্যে মারধরের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন তার ২য় স্ত্রী সুলতানা বেগম।২৫ শে এপ্রিল বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ,নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদের ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।মামলার আবেদনে ২য় স্ত্রী সুলতানা বেগম উল্লেখ করেন-গত রবিবার(২১ শে এপ্রিল)নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ কয়েকজন বন্ধুদের সাথে নিয়ে রাত প্রায় ১১ টার দিকে এই মামলার বাদীনি ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগমের পিত্রালয়ে আসে এবং ২০২২ সালের করা একটি যৌতুক মামলা তুলে নেওয়ার জন্যে কঠিন চাপ প্রয়োগ করেন।এসময় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হলে,নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ তার স্ত্রীকে বলেন-ওয়ারিস সম্পত্তি বিক্রয় না করিলে পরে আর ওয়ারিস নেওয়া যাবে না, তাই সম্পত্তি বিক্রয় করে বিক্রয়কৃত অর্থ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদের হাতে তুলে দিলে তা ভাল ব্যবসার কাজে লাগাবেন এবং তাকে(এই মামলার বাদীনিকে)বাড়িতে তুলে নিয়ে পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখবেন আরো ইত্যাদি বলে ফুসলাতে থাকে।এর সাথে পূর্বের যৌতুকের মামলাটি তুলে ফেললেই সুলতানা বেগম ও তাদের কন্যাকে নিয়ে সংসার করবেন বলে আশ্বাস দেন।এসময় মামলা তুলে নেয়ার জন্য বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়ে, এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ। যৌতুক মামলা তুলে না নিলে খুন করে ফেলবেন বলে স্ত্রীর দিকে তেড়ে আসেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ।এঘটনায় তাদের মেয়ে শ্রাবন্তী বাঁধা দিতে আসলে উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ তার মেয়েকে লাথি দিয়ে সড়িয়ে দেন এবং স্ত্রীকে মারপিট শুরু করেন।বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পাঁ দিয়ে চেপে ধরলে আবারো মাকে বাঁচাতে আসে মেয়ে শ্রাবন্তী,পরবর্তীতে ২ জনকেই প্রহার করে এবং যৌতুক দিবি না আবার মামলা করবি,মেরে মাটিতে পুতে ফেলবো’ বলে হুমকি প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ।এ ঘটনায় বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ তার স্ত্রী ও ৪ কন্যা সন্তানকে নির্যাতন করেন বলে-মামলায় উল্লেখ করা হয়।